ক্ষুধা পেটে কথা ভালো লাগে না
ভালো লাগে না কবিতা কিংবা গল্প
ক্ষুধা পেট খাদ্য চায়, কাব্য না
টাকায় খাদ্য সংস্থান বেশী কিংবা অল্প
অসহ্য ক্ষুধা নিয়ে এদিক ওদিক চাই
যদি কোথাও খাদ্যের সংস্থান কিছু পাই!
চাটুকার'কে সবাই পছন্দ করে, কম আর বেশী
আমি একদম সহ্য করতে পারি না
অথচ আমি নিজেই চাটুকার, স্বার্থের প্রয়োজনে
অর্থের প্রয়োজনে, ক্ষুধা নিবারণের আয়োজনে
ক্ষুধা পেটের লজ্জা শরম বলে কিছু আছে নাকি?
খাদ্যের জন্য মানুষ কি না করে? আয়নায় দেখি;
একটা সময় গল্প লিখতাম, এর ওর তার গল্প
এখন নিজেকেই নিজে গল্প বলি, ক্ষুধার গল্প
একটা সময় কবিতা লিখতাম, মনে প্রেম ছিলো
এখন ক্ষুধা কলম পিষাচ্ছে, চাকরি নিতে হলো
কতদিন পেটে ভরিয়েছি এক আঁজলা পানি খেয়ে!
সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে হয় টাকা দিয়ে;
টাকা বড্ড আজব এক বস্তু, টাকা যার খাদ্য তার
তার থেকেও আজব ক্ষুধা, যার পেট ক্ষুধা তার
তবুও মানুষ হওয়ার যন্ত্রণা, পরিবারের খাবার জোগাড়
বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান; পারিবারিক বন্ধন; ওটাই সংসার
খাদ্য যোগাতে অর্থের প্রয়োজন, বাবা হওয়ার দায়ে
চাকরি কিংবা ব্যবসা, অর্থ উপার্জন যে কোন উপায়ে;
মাথার ভেতরে কোথায় জানি কেমন যেন এক বোধের অনুভূতি কামড়ায়
আমি মনে শব্দের রঙ দেখি, ওরা হাসে, খেলে, কখনো কখনো দৌড়ায়
একসময় হাতে এসে বসে, চুলকায়, যতক্ষণ হাত কলমের ছোঁয়া না পায়,
কোন এক সময় কলমের শব্দ-বমি করতাম ছন্দে কিংবা ছন্দ-হীনতায়
কেউ কেউ ওগুলোকে কবিতা বলতো, অনুভবে কিংবা অনুভবহীনতায়
আজকাল ক্ষুধার রঙ দেখি, কলমের রঙ কবেই ফুরিয়ে গিয়েছে ক্ষুধায়!
২৩ এপ্রিল, ২০২২
#কবিতা
ক্ষুধার রঙ
- আহসানুল হক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন