বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২

তারপরের জীবন

নিজেকে আয়নায় একবার দেখি, একবার দেখি অন্ধকারে 

এখানে প্রখর সূর্যালোক, আর ঐ তো ওখানে শুয়ে আছি কবরে

এই যে বেঁচে থাকা ও মরে যাওয়া! মুহূর্তের পার্থক্য মাত্র 

পেছনের অগোছালো জীবনটা'কে দেখি, সময়ক্ষেপণ যত্রতত্র

কি নিদারুণ অপচয়ই না করে ফেলেছি সময়ের, অর্থ উপার্জনে 

কতটুকু পেটের প্রয়োজন ছিলো? বেশীরভাগটুকুই অপ্রয়োজনে; 


আজকাল হুটহাট করেই কাছের মানুষগুলো চলে যাচ্ছে

চলে যাচ্ছে বলতে পৃথিবী ছেড়ে অন্য এক ভূবনে পারি জমাচ্ছে 

এই তো সকালেই পাশের বাড়ির চাচার সাথে কথা বলছিলাম 

দুপুরে খেতে বসতে না বসতেই ও বাড়ি থেকে কান্নার শব্দ 

খাবার প্লেটটা রেখেই দৌড়ে গিয়ে শুনি নেই, চাচা চলে গিয়েছেন 

চলে গিয়েছেন বলতে মৃত্যু নামক অজানা ভূবনে পারি জমিয়েছেন;  


এই তো কাল সকালে নাস্তা করতে করতে খবর এলো 

মহল্লার এক ছোট ভাই কার্ডিয়াক এরেস্ট, হঠাৎ করেই 

টার্মটা খুব কমন, ছোট বড় মানে না, মানে না বয়স 

টেনে নামিয়ে দেয় কবর নামক ঘরে, যখন তখন ধরেই     

হুট করে উদয় হয়, এসে চেপে বসে বুকের ওপরে   

হাসিখুশি মানুষগুলোকে টেনে নিয়ে যায় মৃত্যুর ওপারে;


আমরা বলি কার্ডিয়াক এরেস্ট, অথবা ব্রেন হেমারেজ

ছোট বড় কত কত অসুখ! কত এক্সিডেন্ট প্রহরে প্রহরে 

জীবিত মানুষগুলো হুট হঠাৎ করেই চলে যায় মৃত্যুর ওপারে, 

মৃত্যু কোন নিয়ম মানে না, বয়স মানে না, মানে না সময় 

জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, প্রযোজ্য প্রত্যেকের জন্য   

এটাই আল্লাহ্‌ তায়ালার অমোঘ বিধান, বিশ্বাসীদের জন্য;  


মৃত্যুর আগে যার একটা নাম ছিলো, ঐ তো শুয়ে আছে লাশ 

গোসল করে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে সাদা কাফনে, অপেক্ষা দাফনে 

একটু পরেই জানাজা শেষে নামিয়ে দেয়া হবে অন্ধকার কবরে 

আজকাল মৃত্যুর কথা বড্ড মনে হয়, মৃত্যু দেখে চারিধারে 

মৃত্যুর পরের জীবনটা কেমন হবে? সে তো কর্মফলের দায়   

বিশ্বাসীরা প্রস্তুতি নেয় আগে থেকে, খুব দেরী না হয়ে যায়!  

 

০৪ এপ্রিল, ২০২২


#কবিতা 


তারপরের জীবন 

 - যাযাবর জীবন 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন