ক্ষুধা লাগলেই খেতে চায় প্রাণীকুল
সে পশুপাখিই হোক কিংবা মানুষ
খাওয়ার চাহিদা জানান দেয় ক্ষুধা;
হিংস্র পশুপাখি শিকার করে খায়
গৃহপালিত পশুপাখি মানুষ যা দেয় তাই খায়
মানুষেরও ক্ষুধা লাগে, ক্ষুধা লাগলেই জানান দেয়
কেঁদেকেটে কিংবা অন্য কোন উপায়ে, মানুষকেও খেতে হয়
বেঁচে থাকা পশু-প্রাণী সকলেই ক্ষুধায় কাতরায়, সবাইকে খেতেই হয়;
শিকারি পশুপাখি ক্ষুধা না লাগলে শিকার করে না
ওরা অকারণ হত্যা করে না, পেটে ক্ষুধা না থাকলে তো না ই
হত্যা করে না গৃহপালিত পশুপাখি অকারণে
শুধুমাত্র মানুষই অকারণ হত্যা করে, কখনো বা খেলার ছলে;
একমাত্র মানুষই খেতে চায় ক্ষুধা না লাগলও
ওটা আসলে ক্ষুধা না, ক্ষুধা নামক এক পোকা - চোখে ক্ষুধাপোকা, মনের ক্ষুধাপোকা
মানুষ যত না ক্ষুধা লাগলে খায়! তার থেকে বেশী খেতে বসে চোখের ক্ষুধায়
আসলে কি খায়? এক পেটে আর কতটুকুই আটে?
ক্ষুধার্ত মানুষ পেটের ক্ষুধায় খাদ্য চায়
পোকা আক্রান্ত মানুষ চোখের ক্ষুধায় সব চায়
যত পায় তত চায়, আরও চায়, আরও চায়
মানুষের চোখের ক্ষুধার কোন শেষ নেই, শেষ নেই লোভের
লোভ রিপুটা যেমন অসীম, মানুষের চাহিদাও যেন অসীম;
লোভে কি পাওয়া যায়? কি দেয় লোভ আমাদের?
অর্থ বিত্ত, টাকা পয়সা, সহায় সম্পত্তি রাশিরাশি
একবার মেপেই দেখি না এক বসায় কতটুকু খেতে পারি!
খাওয়ার প্লেটটা একবার সামনে নিয়েই না হয় বসি;
লোভে কি হারায়?
সম্পর্ক,
তারপর?
লোভটুকুই থেকে যায়, সম্পর্কহীনতায়।
২৬ এপ্রিল, ২০২২
#কবিতা
ক্ষুধাপোকা
- আহসানুল হক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন