রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিপোক্রেসি
- যাযাবর জীবন
আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দ্বৈত মানসিকতা,
ভান আর ছলনা
মুখে উত্তর বলি তো মন দক্ষিণে
মানুষের সাথে বাইরের আচার ব্যবহারে পশ্চিম তো ভেতরটা পূর্ব;
আমার, তোমার, তার ও তার
নারী কিংবা পুরুষ, আমাদের সবার;
আচ্ছা! বই এর ভাষায় এটাকে জানি কি বলে?
হিপোক্রেসি?
ধ্যাত! গালি দিও না তো!
আজকালকার প্রেম?
সেতো মূলত ভার্চুয়াল!
নেটে কে দেখছে কার সাথে কি বলছি!
আর সামনা সামনি?
সকালটা স্কুল বা কলেজে সহপাঠী প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে
দুপুরটা কাটে মহল্লার কার সাথে
সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে
প্রেম নাকি ছলনা?
ধ্যাত! তোমরা প্রেম বোঝোই না,
ও তো এমনিই একটু শরীর ছানাছানি
আর! কয়েকটা প্রেমিক/প্রেমিকা না নাচালে বন্ধুবান্ধব বলবে কি?
একে প্রেম বলে কি?
নাকি হিপোক্রেসি?
বিবাহিত জীবনে?
আজকাল এক পুরুষে নারীর আর চলে কই?
এক নারীতেই কি পুরুষের মন ভরে?
রমণ শেষে দম্পতি একজন আরেকজনার ভেতর থেকে ডুব দিয়ে উঠেই
মোবাইল স্ক্রিনে
প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে ভার্চুয়াল প্রেমে,
পরকীয়া তো দেখি আজকাল ঘরে ঘরে, হরেদরে
এটা হিপোক্রেসি নয়?
উঁহু!
এগুলো যতসব আদিকালের বস্তাপচা চিন্তাভাবনা;
প্রেম তোমরা বোঝই না
প্রেমের কাছে শরীরটা তুচ্ছ
সে বিয়ের আগেই হোক আর পরকীয়াই হোক
শরীর মাত্রই প্রেমেরই অংশ
ধুয়ে নিলেই পুত: পবিত্র,
পরকীয়াকে লাইসেন্স দিয়ে দিলে না?
ধ্যাত! জ্ঞান দিতে এসো না;
এবার সংসারে দেখ;
শাশুড়ি বৌ এর সম্পর্ক!
ঘরে ঘরে লড়াই, বাইরের মানুষের কাছে মা-মেয়ের বড়াই;
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক?
বাইরের মানুষের কাছে মধু, হোক না ঘরের ভেতর তেতো!
ভাই-বোনের সম্পর্ক?
সে তো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
মানুষ শুধু বাইরেরে মিলটুকুই দেখে আদতে সম্পর্কগুলো বিষে ক্লিষ্ট;
এগুলো কি হিপোক্রেসি নয়?
উঁহু!
মানুষের চোখে ভালোমানুষির পরিচয়;
তাহলে ঐ যে হিপোক্রেসি?
ভাষণ দিও না তো!
তুমি
আমি
সে আর সে
সবাই আমরা হিপোক্রেট
কম আর বেশী।
২৪ জুন, ২০২০
#কবিতা
রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিপোক্রেসি
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এটিড করা।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন