স্পর্শ খুব অন্যরকম একটা অনুভূতি,
খুব ভেতরের;
স্পর্শ তো অনেক রকমই হয়ে থাকে
প্রতিটা সম্পর্কেই কিছু না কিছু স্পর্শ প্রতিনিয়ত নানা কারণেই ঘটে,
আজ না হয় শুধুমাত্র বন্ধুত্বে স্পর্শের কথাই বলি!
শুধুমাত্র ছেলে আর মেয়ে বন্ধুর মধ্যকার নানারকম স্পর্শাবলি;
ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব তো হতেই পারে!
বেশিরভাগ বন্ধুত্ব অবশ্য শুধুই নামে
সত্যিকারের বন্ধুত্ব?
সে বোঝা যায় স্পর্শে এলে, ভাবছ বন্ধুদের মধ্যে স্পর্শ কেন?
তাও আবার ছেলে আর মেয়ে বন্ধুর মাঝে!
আরে একসাথে চলতে ফিরতে গেলে
কত কারণে কতভাবেই তো স্পর্শ লেগে যেতে পারে!
এই ধরো কোথাও একসাথে যাবার প্রয়োজন হলে,
সে গাড়িতেই হোক কিংবা রিক্সাতেই
স্পর্শ তো লেগেই যায়, কোন না কোন কারণে;
কিংবা ধরো পথ চলতে হঠাৎ হোঁচট খেলে
হাতটা ধরার প্রয়োজন হতেই পারে,
কিংবা উঁচু নিচু অথবা পিছল পথে পথ চলতে
হাতটা তো ধরতে হতেই পারে;
ছেলে আর মেয়ের মধ্যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখন বোঝা যায় জানো?
যখন মেয়েটা এতটুকু অস্বস্তি অনুভব না করেই
ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাশাপাশি একসাথে রিক্সায় ঘুরতে পারে,
বন্ধুর পথ চলায় এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই
প্রয়োজনে ছেলে বন্ধুর হাতটা শক্ত করে ধরতে পারে,
পথ চলায়, হাত ধরায়, পাশাপাশি যাত্রায়
মনে এতটুকু অস্বাচ্ছন্দ্য বোধের কোন অনুভূতি স্পর্শ না করে;
মেয়েদের অনুভবগুলো বড্ড তীক্ষ্ণ, অনুভূতিগুলো প্রচণ্ড জোরালো
মুহূর্তের স্পর্শে তারা চিনে নেয় স্পর্শের ধরণ
আর মনে স্বস্তির বোধ! ওটাই তো বন্ধুত্ব টিকে থাকার কারণ,
একটা ছেলে আর একটা মেয়ের বন্ধুত্ব;
বন্ধুত্বের স্পর্শ একদম আলাদা একটা অনুভূতি,
শুধুমাত্র বন্ধুই চেনে, বন্ধু ছেলে আর মেয়ে হলে।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
#কবিতা
বন্ধুত্বের স্পর্শাবলি
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন