রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪

স্বপ্নে স্বপ্নে তুই


স্বপ্নে স্বপ্নে তুই
- যাযাবর জীবন

নদীপারের একলা গাছটা সেজেছে সবুজে আজ
আমাদেরই জন্য
ডালপালা মেলে দিয়েছে তোর আব্রু ঢাকতে
জানে সে, আমি তোর প্রেমে বন্য;
গাছের ছায়ায় তুই আর আমি
পাশ দিয়ে পায়ে হাটা মেঠো পথ
আকাশে মেঘ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি
সামনে বয়ে চলেছে নদী
আর চারিদিকে সবুজ ঘাসের গালিচা বেছানো রথ;
তুই গাছে হেলান দিয়ে
আমি তোর কোলে
তুই, আমি, বৃষ্টি আর নদীর কুলকুল ধ্বনি
নিস্তব্ধতায় কান পেতে
ভালোবাসার গুনগুন শুনি।

চোখ বুজে দিবাস্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে?
হোক না অবাস্তব কিংবা অলীক
না হয় অল্প কিছু সময়ের জন্যই
তুই আর আমি
স্বপ্নে স্বপ্নে দুজনে;
তারপর না হয় চোখ মেলে আবার যে যার পথে
বাস্তব কষাঘাতে।





খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি


খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি
- যাযাবর জীবন

ফুল স্পীডে ফ্যান
বড্ড গরম
উন্মত্ত শীৎকার
কাম চরম;
কে ঐ মেয়েটা? পাশে শুয়ে,
কারো না কারো তো মেয়ে
ঘুমিয়ে আছে ক্লান্ত হয়ে
পর পুরুষের বিকৃত অত্যাচার সয়ে।

একের পর এক
পর পুরুষের আনাগোনা প্রমোদঘরে
তাদের নোংরা বীর্য প্রমোদ-বালার দেহের পরে;
ঘরে পঙ্গু স্বামী, শিশু সন্তান
ক্ষুধার কামড়ে ক্রমাগত পেটে টান,
বেশ্যার দেহ বেচা উপার্জনে
স্বামী-সন্তানের পেট ভরে।

ওহে পর পুরুষ!
শিশ্নের ক্ষুধা মিটে গেলে
বেশ্যার বুকে শুয়ে
তৃপ্তির আবেশ কাটার পর;
বিবেকে আঁচর পরে কি?



শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

আগে আর পরে


আগে আর পরে
- যাযাবর জীবন

অতৃপ্ত চাওয়ায়
তুই না আমি?
জীবন থেকে সব পাওয়ায়
তুই না আমি?
ক্লান্তির সীমানায়
তুই না আমি?
মরণের আঙ্গিনায়
তুই না আমি?

চিরনিদ্রায় কে যাবে?
তুই না আমি?

চাওয়ার নেশা পাওয়ার আশা
তোর যেমন আমার তেমন
ক্ষুধা তৃষ্ণা কামের নেশা
তোর যেমন আমার তেমন;
মনের মাঝে ভালোবাসা
তোর যেমন আমার তেমন;
দেহ ভরা রোগের বাসা
তোর যেমন আমার তেমন;

যেতেই হবে ঘুমঘরে চিরতরে;
তোর আর আমার
দুজনেরই
সবাই জানে
সবাই মানে;
কে আগে আর কে পরে
কে জানে'রে
কে জানে?


শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৪

অঙ্কুশ-তাড়না


অঙ্কুশ-তাড়না
- যাযাবর জীবন

দুপুরের তপ্ত চাঁদে আকাশে ছিপ ফেলে
অন্ধকার ধরেছি অনেক
জ্যোৎস্না ধরা হয় নি,
মাছের ডানায় ভর দিয়ে পাখা মেলার আগেই
আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে মাথার ওপর;
রাতের কোমল সূর্যে নদীতে ডুব সাঁতারে
মেঘ ধরেছি অনেক
পানি ছোঁয়া হয় নি
পাখির ডানায় কতটুকু আর সাঁতার দেয়া যায়?
গভীর জলে বিচরণ তোর;
সকালের প্রেমের ইলশে গুঁড়িতে
বজ্র ওঠে দুপুরের ভালোবাসার নদীতে
বানভাসি আমি আশ্রয় খুঁজি আঁধারের তো'তে।

আমার আকাশ কুসুম কল্পনায় তুই চাঁদ অমাবস্যার
আমার ভালোবাসার আকাশে তুই চাঁদনি অধরার
ব্যবধান আকাশ পাতাল, আমা'তে আর তো'তে
ব্যবধান বয়সের
ব্যবধান সময়ের
ব্যবধান অনুভবের
ব্যবধান ভালোবাসার।

অন্ধ প্রেম অকাল বোধন, অন্ধকার দেখে চোখে
আলোকিত ভালোবাসা শুধু ভাগ্যবানের কপালেই জোটে;

কাক ভূষণ্ডী এ জীবন বয়ে কি হবে?
যদি তোকে নাই পেলাম।





বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

পাথর



পাথর
- যাযাবর জীবন

কাকপুকুরে চাঁদ হাসলে বিনুনিতে চাঁদনি বেঁধে রাখিস তুই
ধুসর রাতে নূপুর না হয় আমিই পড়াব তোকে
সূর্যের কান্নায় অমাবস্যা হাসলে;
পাথরের কান্নায় ধুতুরা ফুটলে
তবেই ভালোবাসিস আমায়
যদি ভাসতে চাস বিষাদের বিষে।

আকাশের দুই চাঁদ নিয়ে কি করব আমি?
চাঁদনি'তো তোর কাছে;
পাথরে হৃদয় ঘষে কেন শুধু আগুন জ্বালাস
অশ্রু'তো তোর চোখে।



পার্থক্য


পার্থক্য
- যাযাবর জীবন

কাল আর আজকের মাঝে পার্থক্য অনেক
পার্থক্য সময়ের
অনুভবের
স্পর্শের
ভালোবাসার;
কালকের ভালোবাসা আজকের বেদনা
আজকের স্পর্শ কালকের ঘৃণা
দুপুরের রৌদ্রালো রাত্রির কালো
কেও বোঝে কেও বোঝে না;
কালকে প্রাপ্তি
প্রাপ্তিতে তৃপ্তি
প্রেমে প্রশান্তি
খুব সাময়িক;
আজকে বিচ্ছেদ
প্রেমে রাহুর ছায়া
মনে অশান্তি
তাও সাময়িক;
কেও বোঝে
কেও বোঝে না
ধৈর্য ধরার ধৈর্য নেই কারো
পেতেই হবে যেন চাহিবা মাত্র;
পার্থক্য কেও বোঝে না
চাহিদা আর প্রাপ্তির
কালকের আর আজকের
দুপুর আর রাত্রের।


বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

ভালোবাসা


ভালোবাসা
- যাযাবর জীবন

ভালোবাসা মনের মাঝে বসত করে চিরদিন
ভালোবাসায় কাঁদা হাসা, ভালোবাসা অমলিন
ভালোবেসে সূর্যের হাসি ভালোবাসা জ্যোৎস্নার ঢল
ভালোবেসেই দুঃখ বিলাস ভালোবেসেই কান্নার ঢল।

আলো হবি হাসি হবি হাতটা যখন ধরে রইবি
দুঃখ হবি কান্না হবি যখন আমায় ছেড়ে যাবি
যখন যেথায় যেমন ভাবে যেমন করে চাইবি আমায়
তখন সেথায় তেমন ভাবে তেমন করেই পাবি আমায়।

তুই চাইলেই ভালোবাসার বৃষ্টি নামে আমার চালে
তুই চাইলেই কান্নার ঢেউ উথাল পাথাল মনের ডালে
ভালোবেসে বাঁচি আমি তোকে নিয়েই প্রতিদিন
ভালোবেসেই মরি আমি তুই বিহনে প্রতিদিন।


মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

ডাক



ডাক
- যাযাবর জীবন

খুব বেশি আরামপ্রিয় এ শরীরটা
এসি না হলে বড্ড হাঁসফাঁস, গরমে
হিটার না চললে বড্ড কাবু, একটু ঠান্ডা পড়লে
সহ্যই হয় না যেন অন্ধকার
ভালো লাগে না ঘরে সন্ধ্যের কালে
তিনটা বাতি একসাথে না জ্বললে
ফুল স্পীডে ফ্যান সে তো বারো মাস
দরকার থাক আর না থাক
ঘুরছেই বনবন করে মাথার ওপরে;
আর ছোট ঘর! সে তো সহ্যই হয় না
ডবল খাটে ফোমের বিছানা, না হলে তো চলেই না
সকালে বিকালে সন্ধ্যে আর রাতে
এক এক প্রহর এক এক কাপড়
আরামদায়ক মোলায়েম
দামী আর বাহারি রঙ এর
একটু ঘামের দাগ তো ছুড়ে ফেলা
নিত্যই নতুন নতুন কাপড় গায়ে তোলা।

শুনেছি সে ঘরটা নাকি খুব ছোট
জানালা বিহীন গুমোট গরম
তিনদিক বন্ধ মাথার ওপর দরজা
ঘরে ঢুকতেই মাটির দরজা বন্ধ
অন্ধকার সেখানে মিশমিশে কালো
শুতে হয় নাকি মাটির বিছানায়
একই সাদা থান কাপড়ে বছরে বারোমাস;
কদিন পর পর বন্ধুবান্ধব সব
একে একে সে ঘরে ঢোকে
আত্মীয় স্বজন চেনা মানুষজন
আর ফিরে না আসে
কদিন পর পর নতুন নতুন ঘর
যাওয়া আসা বারবার আমারই সেথা
আমিই পুরাতন
নতুন নতুন ঘরের দরজা আমি খুলি
এক এক করে কাছের মানুষগুলো
ঘরের ভেতর তুলি
সযতনে চোখের জলে দরজা বন্ধ করি
খুব অভিমানে পেছন না ফিরে
আমার বড় ঘরে ফিরি;
এসির বাতাস খাই, বিছানায় গা এলাই
বড্ড আরামপ্রিয় শরীর।

ধুর! ভালো লাগে না আর
কেন জানি ইদানীং প্রায়ঃশই বড্ড টান অনুভব করি,
মাটির টান, যেন ডাকছে আমায় ছোট্ট সে ঘর;
যেতেই হবে?
বড্ড ভয় লাগে যে!
তোমরা কেও চলো না আমার সাথে।












মন মাটি খেলা


মন মাটি খেলা

- যাযাবর জীবন

বেলায় বেলায় বেলা গড়ালো
নেচে গেয়ে হেসে খেলে
হলো, অনেক তো হলো!
মন বলে, আর বেঁচে তুই কি করবি রে মন
সন্ন্যাস সন্ন্যাসে মিলে নষ্ট গাঁজন
অনেক তো খেলা হলো
মন বলে এবার চলো, ঘরে চলো;
দরজা নাই
জানালা নাই
মাটির ঘর
আরামের শরীরে
ধর! এবার পোকায় ধর!!
তারপর মন আর আমি
মাটিতে মাটি।



সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

বোধের ওপারে বোধ



বোধের ওপারে বোধ

- যাযাবর জীবন

একে একে ছেড়ে যায় সবাই
আমাকেই;
কেও রাগে
কেও দুঃখে
কেও অভিমানে
আর আপনজনেরা একে একে চিরতরে অন্যভূবনে;
বোধহীন আমি ভেসে থাকি
বোধের সাগরে একা,
লাল নীল সাদা কালো সব বোধের ঝড়
সয়ে যাই নীরবে।

ভেবো না,
খুব সহসাই অন্যভূবনের ডাক আসবে আমারও;
তোমরাই রেখে আসবে আমায় সেদিন মাটির ঘরে
যারা মুখ ফিরিয়ে রেখেছ আজ
রাগে
দুঃখে
অভিমানে;
সেদিন কি দোলা লাগবে তোমাদের বোধের ঘরে?
বন্ধ চোখেও সেদিন আমি
দেখব ঠিকই তোমাদের মনের
লাল নীল সাদা কালো সব বোধের ঝড়;
অনুরোধ সেদিন
কেঁদো না।


রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

এভাবেই কেটে যায় সময়


এভাবেই কেটে যায় সময়
- যাযাবর জীবন

সূর্যের বৃষ্টি সারা দিনমান
ফোঁটায় ফোঁটায় তপ্ত গরম
দুপুর থেকে ঝরে পরে,
তীর্থের কাক চেয়ে থাকে আকাশ পানে
জ্যোৎস্না বৃষ্টির আশায়
গা জুড়োবে বলে,
মেঘবালিকার কালো মুখ
বিকেলের গোধূলি জুড়ে
বালিহাঁসের সারা গায় হিমেল অশ্রুকণা
সন্ধ্যেয় ঝরে পরে;
বেদনার বিবাগী সময়
বুনোহাঁসের ডানায় ভর দিয়ে
অজানায় উড়ে চলে;
ধুসর রাতে আধারের চোখে ছোপ ছোপ কান্নার দাগ
হৃদয়ের নীলঘরে আমার কারাবাস
স্পর্শের ওপারে তুই।

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

দিনরাত্রি



দিনরাত্রি
- যাযাবর জীবন

এখানে ওখানে যেতে হয়
নানা কাজে
নানা সময়
তোর থেকে অনেক দূরে
ভাবিস কেন রে?
থাকিস তো তুই সবসময়ই আমার হৃদয় ঘরে
বুকের খুব গোপন পকেটে
যখনই সুযোগ পাই বুক খুলে তোর যুঁই গন্ধ মাখি
পথের ক্লান্তি ভুলে থাকি
তারপর আবার তুই মন পকেটে
আমি ব্যস্ত ভীষণ কাজে;
কেটে যাচ্ছে আমার ব্যস্ততার দিন
আর তোর গন্ধে মাখা অলস রাত্রি
তোকে ছাড়া
আর তোকে নিয়ে
বুকের নরম ঘরে
খুব একান্তে
তো'তে আর তো'তে
মাখামাখি হয়ে।



শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪

ধ্রুবতারা


ধ্রুবতারা
- যাযাবর জীবন

রাতের কথাগুলো দিনে অন্যরকম
রাতের লেখাগুলো সকালে বড্ড অচেনা লাগে
যেমন অচেনা লাগে আমার
নিজেকে নিজে,
সকালে
দুপুরে
সন্ধ্যায়
রাতে,
এক এক প্রহর
এক এক রূপে;
শুধু তোর চাঁদ মুখ ভাসে
মনের আকাশে;
বাকি সব হলোই বা অচেনা
তাতে আমার কিছুই যায় আসে না
তুই থাকিস ধ্রুবতারা হয়ে।

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

তুই আর আমি


তুই আর আমি
- যাযাবর জীবন

পুবের হাওয়ায় পশ্চিমে দাঁড় বাওয়া তোকেই মানায়
ঈশান কোনে নীল ঝড় ওঠে অভিমানের আনাগোনায়
একপ্রান্তে চাহিদার পাহাড়
অপর প্রান্তে জালটেনে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী প্রাপ্তি
মাঝে শূন্যতার নদী
নদীতে দখিণা বাতাসে পাল উড়িয়ে
মনে উত্তুরে হাওয়ায় চাদর গাঁয়ে
সেই তোর কাছেই ফিরে আসা
নৈর্ঋত ঘুরে;
চাঁদ আর চাঁদনি দুজন দুজনার
তবুও পায় না ছুঁতে কেও কাওরে
আমি তোর না হলেও তুই আমার
তবুও দুজন স্পর্শের ওপারে।

ব্যবধান সময়ের, কালের, নিয়তির
ব্যবধান তোর আর আমার
ব্যবধান আমাদের ভালোবাসার;
তোর ভুল হয়েছিল আমাকে ভালোবাসা,
সহজেই শুধরে নিয়েছিস;
আমার ভুল হয়েছিল তোকে মনে রাখা,
মনের মাঝে গেঁথে রেখেছি।

ঘুরে ফিরে তোর কাছেই,
অভিমানের শুকনো ছাতু গিলতে হয় আমাকেই
পানি দিতেও বড্ড আলসেমি তোর
গলায় ঠেকে গেলে বৈধব্য সইতে পারবি?





শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

মধুচন্দ্রিমা


মধুচন্দ্রিমা
- যাযাবর জীবন

অন্ধকার চুঁইয়ে রাত্রি
প্রভাত চুঁইয়ে আলো
আকাশ চুঁইয়ে নীল
বেদনা বড্ড কালো;
মেঘ চুঁইয়ে জল
চোখ চুঁইয়ে কান্না
চাঁদ চুঁইয়ে জ্যোৎস্না
তোর মধুচন্দ্রিমা।

কোথায় হারিয়ে গিয়েছিস?
মন চুঁইয়ে ভালোবাসার দেয়াল বড্ড স্যাঁতস্যাঁতে
কান্নার পথ তো সমান্তরাল হতেই হবে
আমাকে ছাড়া তুই ভালো থাকিস কিভাবে?
এখানে ডুবছি আমি
ওখানে চাঁদনি
তুই ডুবেছিস ভালোবাসার ঘোরে।

বেদনা চুঁইয়ে অন্ধকার
আমি ছুঁয়ে দিতেই কান্না
কাঁচের স্বপ্নে হৃদয় কাটে আমারই
তোর মধুচন্দ্রিমা।



শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

অভিমান কথা বলে


অভিমান কথা বলে
- যাযাবর জীবন

রাতের দরজা খুললেই ঝপ করে অন্ধকার
অন্ধকারের ওপারেই অভিমানের উঁচু দেয়াল;
যদি দেয়াল পাড়ি দেয় প্রেমিক হাঁচরে পাঁচরে
হোঁচট খাওয়া প্রেম অভিমানের পদতলে,
আর নয়তো প্রেম'ই মুখ থুবড়ে পড়ে
অভিমানের দেয়ালটা একটু বেশী উঁচু হলে;
একটু হয়তো চোখ থেকে টুপ করে দু-ফোঁটা কান্না
খুব সাময়িক, বিচ্ছেদে এটাই তো স্বাভাবিক;
তবে ক্ষতি কারোর'ই হয় না খুব বেশী,
না প্রেমিকের না প্রেমিকার;
আদতে "প্রেমের'ই সমাধি" অভিমানের সরোবরে
আর 'অভিমান' বিজয়ীর বেশে সদর্পে নৃত্য করে
'প্রেম'এর মাথার পরে;

অন্ধকারে ওপারেই নতুন সূর্য, নতুন কিরণ
জীবন ধেয়ে চলে আবার নতুনের সন্ধানে
নতুন প্রেম কথা বলে;
পুরানো প্রেম! কে কয়দিন মনে রাখে?
ক্রমাগত একই ধারা চলে আসছে সেই প্রেমের আদিকাল থেকে,
তুই তা বদলাবি কি ভাবে?


বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

লাটাই


লাটাই
- যাযাবর জীবন

অর্ধেক তুই
অর্ধেক আমি
অর্ধেক প্রেম
ভালোবাসা বলে দামী
তবুও যখন তখন প্রেম উবে যায়
দুজন দুদিকে হর হামেশায়;

অর্ধেক ঘুড়ি
অর্ধেক লাটাই
কড়া মাঞ্জা
পুরো সুতাই
তবুও যখন তখন সুতা ছিঁড়ে যায়
ঘুড়ি উড়ে চলে দূর অজানায়;

জীবন ঘুড়ির লাটাই অন্য কারো হাতে
আমরা আকাশে উড়ি
সুতো ছাড়ে সে
আমরা ভেসে চলি
কাটাকাটি খেলে সে
মাটির দেহ মাটিতে।



ভয়


ভয়
- যাযাবর জীবন

যেদিন ঝুম বৃষ্টি হবে
সেদিন খোলা আকাশের নীচে ভিজতে ভিজতে মনে করিস
এক প্রতিবন্ধী আধামানব তোকে ভালোবেসেছিল;
যেদিন আকাশে জ্যোৎস্নার প্লাবন হবে
সেদিন চাঁদের আলোয় ভিজতে ভিজতে মনে করিস
এক প্রতিবন্ধী আধামানব তোকে ভালোবেসেছিল;
আর যেদিন তোর চারিদিক অন্ধকার হবে
যেদিন কেও রইবে না পাশে
যেদিন বৃষ্টি হবে না আর পৃথিবীতে
যেদিন জ্যোৎস্নায় পূর্ণ-গ্রহণ হবে
সেদিন না হয় একবারেই চলে আসিস
প্রতিবন্ধী অর্ধমানব এর কাছে;
পাশাপাশি দুটো ছোট্ট মাটির ঘর
চেয়ে নিয়েছি আমি ওপরওয়ালার কাছে
জানিসই তো আমার একা থাকতে বড্ড ভয় করে।


মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

হাসি কান্না


হাসি কান্না
- যাযাবর জীবন

কেও কেঁদে হাসে
কেও হেসে কাঁদে
কেও বোঝে
কেও অভিমানে পথ খোঁজে;
কেও ওপরে হাসে ভেতরে কাঁদে
কেও ভেতরে হাসে ওপরে কাঁদে,
জীবনেরই অংশ হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদন
জীবনের দৃশ্যপট পরিবর্তনের সাথে সাথে
অনুভূতির পরিবর্তন;

হাসি আনন্দের অনুভূতি
ছড়িয়ে দিতে হয় সবার মাঝে
সবাইকে হাসিমুখ দেখাতে হয়;
কান্না শুধুই নিজের
হাসিমুখে দুঃখগুলো বয়ে যেতে হয়
মানুষ থেকে সযতনে ঢেকে রাখতে হয়।

জীবন ঘুড়ি


জীবন ঘুড়ি
- যাযাবর জীবন

নানা রঙের ঘুড়ি ওড়ে নীলাকাশে
নানা রঙের লাটাই মানুষের হাতে
ছোট-বড় নানা মানুষের হাসি-আনন্দের চোখ থাকে রঙ্গিন ঘুড়ির দিকে
তারই ফাঁকে কিছু মানুষ নামক জানোয়ার খুব সঙ্গোপনে
দাঁড়ায় পাশে এসে বন্ধু বেশে
ঈর্ষার কাঁচি কিংবা ঘৃণার সিগারেট হাতে
খুব গোপনে লাটাইয়ের সুতোতে কাঁচি চালায়
কিংবা সিগারেটের একটু স্পর্শ সুতোর গায়
সুতো কেটে দূর আকাশ পানে ঘুড়ি উড়ে যায়
মানুষ লাটাই হাতে হতাশ চেয়ে থাকে
এভাবেই ক্রমাগত জীবন ঘুড়ির সুতো কেটে চলে
মানুষ নামক জানোয়ারের হাতে।


অনুভব


অনুভব
- যাযাবর জীবন

এই তো কিছুক্ষণ আগে
এখানে কিছু ভালোবাসা রেখে গিয়েছিলাম;
বুক ঠুকরে খেয়ে গেলো কাকে,
কপাল আমার!
যাক গে, উচ্ছিষ্ট যেটুকু পড়ে আছে তাতেই আমার চলে যাবে
বাকি কটা দিন, যতটুকু এখনো অবশিষ্ট আছে;
পাথরে ঘাস বুনে গোলাপ তোলার স্বপ্ন আমি দেখি না
জংলা-ঘাটার দু চারটা ধুতরাতেই আমার বেশ কাজ চলে যায়
চাহিদার সীমাবদ্ধতা বোঝে কজন?
ফড়িঙের পিছু দৌড়ে কি হবে?
যদি দিবাস্বপ্ন উড়ে যায় প্রজাপতির ডানায়।

আমি ভালোবাসার উচ্ছিষ্টাংশটুকুই না হয় সযতনে পুষে রাখব
বুকের খাঁচায়;
কেও জানবে না,
না তুই
না কাক
না গোলাপ
না প্রজাপতি
না আমাদের ভালোবাসা।

শুধু নিথর দেহে ঘাসফুল ফুটলে
সযতনে তুলে রাখিস সেদিন তোর ফুলদানীতে
সাদা কাপড়ে ঢাকার আগে;
সেটুকুতেই তোর ঘর আলো হবে।




সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

চাঁদের সাথে ভাগাভাগি

চাঁদের সাথে ভাগাভাগি
- যাযাবর জীবন

প্রতিটি চাঁদনি রাতে মন কষাকষি চাঁদের সাথে
তাইতো চাঁদ'কে ভাগ করে দিয়েছি চাঁদনি
আমার ভাগে তুই;
কলঙ্কিত চাঁদ
কলঙ্ক সব আমার
শুভ্র চাঁদনি
শুভ্র তুই;
চাঁদের কলঙ্ক তোকে স্পর্শ না করুক
আমি দূরে সরে রই।

হাত বাড়িয়ে ধরতে জ্যোৎস্নার ঢল
উঠে আসে হাতে চটচটে নোনাজল
কত যুগ হয়ে গেছে কাঁদি নি আমি
তবুও রক্তের মাঝে অশ্রুর কোলাহল।



স্বামী সোহাগী


স্বামী সোহাগী
- যাযাবর জীবন

বড্ড হারিয়ে যাবার ইচ্ছে ছিল তোর, আমাতেই;
পা কোথায়?
কোথায় নূপুর?
বিছানায় জড়াজড়ি প্রেমের পূজারী
তুই আর আমি
আদিম পুরুষ
আদিম নারী।

রমণের শীৎকার তুঙ্গে তোর মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসলো
তোরই স্বামীর নাম,
আমার বোধোদয়ের ঘুম ভাংলো
সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লো অর্ধভুক্ত হিংস্র বাঘ;
'কি হলো'? বলে চিৎকার করে উঠলি তুই;
নিশ্চুপ আমি তোর খালি পায়ে নূপুর পড়িয়েছিলাম
অভিমানের ঝমঝম শব্দে পথ ফিরেছিল তোর সংসার;
রমণ প্রেমের তরে
শীৎকার স্বামীর ঘরে।


বোকারামের বোধন



বোকারামের বোধন
- যাযাবর জীবন

ঢাক ঢোল কানারা বাজিয়ে
ধুমধাম গাঁয়ের লোক খাইয়ে
ঘরে বৌ এনেছে বোকারাম;
বাসর রাতে রমণ সুখে
বৌ এর মুখ থেকে ছিটকে বের হলো হরিনাম!
বোকারাম বোকা হয়ে কয়
ও কি বৌ! রমণে কোথায় গো হরির স্থান?
বৌ বলল, ওরে ও বোকা
কালে কালে শুনবে আরও কত কথা
কত সব মহা-মনীষীর নাম
যখন যেভাবে যেখানে যে গুরু
আমারে করেছিল দীক্ষাদান
পদে পদে আমি সেসকল গুরুর, চরণে করি গো প্রণাম;
সেদিন থেকে বৌ এর সাথে সাথে
চলতে ফিরতে
খেতে বসতে
শয়নে স্বপনে
ঘুম ও জাগরণে
কাম আর রমণে
বোকারামও জপতে লাগল
হরি
তোপসে
বুবাই
কানাই
আরও কত কত সব নাম না জানা গুরুজীর নাম।

একদা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে বোকা
সকল মহা-মনীষীই যে আছে সেথা
কেও মাসতুতো ভাই
তো কেও পাড়া'তো ভাই
কেও কর্মচারী
তো কেও পাশের বাড়ি
হরি, তোপসে, বুবাই, কানাই
মলয়, প্রলয়, গুরু সবাই
আছে তার শ্বশুরকুলে
জপত বৌ এর সাথে যে সকল নাম
আছে তারা সকলেই
শ্বশুরবাড়িতে সশরীরে বিদ্যমান।



শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৪

"তুই"


"তুই"
- যাযাবর জীবন

'তুই' নামক এক যন্ত্রণা
কাঁদার, হাসার, ভালোবাসার
পুষে যাচ্ছি সেই বোধেরও আগে থেকে;
'তোকে' না পারি দেহে জড়িয়ে নিতে
না পারি ভুলে যেতে,
'তোকে' ছাড়া দিন কাটে না
'তুই'বিহীন রাত্রি আসে না;

'তুই' আছিস কোন না কোনভাবে
অষ্টপ্রহর জড়িয়ে আমায়
চিন্তায়
চেতনায়
স্বপ্নে
অনুভবে;
দিনে, মনের ঘরে
রাতে, ঘুমের ঘোরে।



বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০১৪

এলোমেলো নস্টালজিয়া


এলোমেলো নস্টালজিয়া
- যাযাবর জীবন

এইতো সেদিন,
আধকপালি ব্যথাতে যখন মেঘ জমেছিল তোর পটলচোখে
আমি আধশোয়া তোর মাথার কাছে, তুই ছিলি আধোঘুমে
ডুকরানো বজ্রপাতে যেই না অঝোর বৃষ্টি নামলো
কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি নিয়েছিলাম তোর অশ্রু চুমে,
ঘুমভাঙ্গা আধচোখে যেই না তুই তাকালি
ওমনি সূর্যের উঁকি রাতের আকাশে
দূর হলো থিকথিকে গাঢ় বেকুব অন্ধকার
তুই হাসলি, ছড়িয়ে পড়লো চাঁদনি;
আলোকিত রাতের কথা কার না মনে পড়ে, অন্ধকার দিনে!

অনেক দিন নিক্বণ হাসি ভেসে আসেনি ঘুমঘোর স্বপ্নে
ঘুঙুরের ঝমঝম শব্দ শুনিনি বহুদিন বোবাকানে
আধকপালি মাথাব্যথাটুকু থাকুক অর্ধ-মানবের ছায়াসঙ্গী হয়ে
আবার সূর্য ওঠার আগে, মায়ারাতে।



মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

পানিপথের জীবন


পানিপথের জীবন
- যাযাবর জীবন

মানুষ মরে
মানুষ মরবে
পিপীলিকার মত মরছে প্রতিদিন
তলাফাটা নৌকোতে নৌকাডুবি
গাদাগাদি ভীরে লঞ্চ-ডুবি
পানিপথে চলবেই,
চলবেই প্রতিদিন।

আমরা দেখে যাব
কিছুক্ষণ উহ্ আহ্
তারপর প্লেট উপচানো ভাত নিয়ে
তরকারিতে ঝাল কিংবা লবণের কম-বেশে গলা ফাটানো;
মরছে মানুষ
মরছে প্রতিদিন
দিনে উঁহু আহা মরণ দেখে
রাতে প্রিয়ার বুকে রমণ সুখে;
তারপর, নির্লিপ্ত ঘুম।

মানুষ মরছে,
মরছে মনুষ্যত্ব,
মরছে প্রতিদিন।




ন-মানুষের কথা


ন-মানুষের কথা
- যাযাবর জীবন

তোমাদের কাছে ভালো খাবার বলতে
একসময় ছিল পোলাও, কোরমা, কোপ্তা, কালিয়া
ইদানীং ষ্টেক হাউজ, গ্রীল হাউজ, রেডিসন কিংবা ওয়েস্টিন;
আমার কাছে সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত কব্জি ডুবিয়ে পানিভাত
সাথে একটু পোড়া মরিচ বা শুঁটকি ভর্তা, তো সোনায় সোহাগা।

তোমাদের কাছে বেড়াতে যাওয়া মানে
একসময় ছিল নেপাল, ভুটান, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া
ইদানীং ইউরোপ ঘুরে আফ্রিকা কিংবা আরও দূরে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা অথবা এন্টার্কটিকা;
আমার কাছে ঘোরাঘুরি বলতে বাড়ির কাছে খোলা মাঠ, হাঁটা-রাস্তা, নানা রঙের মানুষ
খুব বেশি হলে মাছ-সাঁতারে মাছেদের সাথে নদী জলে কচুরিপানা।

তোমাদের কাছে বন্ধুত্ব মানে
সামনাসামনি বসে গল্পে মাতা, খাওয়ার প্লেট সামনে আড্ডার তুবড়ি
ইদানীং আবার একসাথে লাল পানি কিংবা কি কি সব পাউডার নেশায় বুঁদ;
আমার কাছে বন্ধুত্ব মানে মনের খোলা বই, দুজন দুজনার'টা পড়ে নেওয়া
খুব বেশি হলে অবসরে একসাথে কিছুদূর পথ হাঁটা।

তোমাদের কাছে প্রেম মানে
খেলা খেলা, আজ এ তো কাল সে তারপর বদল; নতুন তো হরহামেশাই পাওয়া যায়
ইদানীং আবার স্পর্শের খেলা থেকে বিছানায় চলে যাওয়া, খুব ডালভাত হয়ে গেছে;
আমার কাছে একটাই মাত্র প্রেম
প্রাগৈতিহাসিক হৃদয়ে দিনরাত্রির অষ্টপ্রহরে 'একঘেয়ে তুই'।

তোমাদের আর আমার চাহিদা সম্পূর্ণ ভিন্নমুখী
সাধ্য ও সামর্থ্যের মাঝেও রয়েছে বিস্তর ফারাক;
তোমাদের সাথে কখনই আমার মেলে নি
না মন ও মানসিকতায়
না আর্থিক অবস্থানে,
তবুও একসাথেই আছি, ছায়া হয়ে পাশাপাশি - সামাজিক জীব বলে কথা;
পুরোপুরি সত্যি কি?
তোমরা মানুষ; আমায় "ন-মানুষ" ডাক কেন?





সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

উজান ভাঁটি


উজান ভাঁটি
- যাযাবর জীবন

নদীতে উজান
নদীতে ভাঁটার টান
নদীর পানি নদীতেই থাকে
স্থান পরিবর্তন শুধুই কচুরিপানার;

প্রেমের আগমন
হৃদয়ে রক্তসঞ্চালন
প্রস্থান? সে তো প্রেমেরই প্রতিদান,
একটাই হৃদয়
আনাগোনা ভালোবাসার।


ঘর


ঘর
- যাযাবর জীবন

একটা ঘর
ঝিল্লী ঝিল্লী
পিচ্ছিল দেয়াল
ধুকপুক ধুকপুক শব্দ
লাল লাল তরল
আসে যায় আসে যায়
ক্রমাগত ক্রমাগত;

ঘরটা একা, দরজা খোলা
নানা রঙের মানুষ
ঢুকে আর বের হয়
অবিরত কোলাহল ঘরের ভেতর
কেও থেকে যায়, লাল আরও লালচে হয়
কেও চলে যায়, লাল কালচে হয়
ধুকপুক ধুকপুক শব্দটা অবিরত রয়।

আমি নৈঃশব্দ্যের অপেক্ষায়।



শনিবার, ২ আগস্ট, ২০১৪

নানা রঙের সম্পর্ক



নানা রঙের সম্পর্ক
- যাযাবর জীবন

আমাদের দৈনন্দিন সম্পর্কগুলো
কাছের, দূরের
নানা রকম মানুষের সাথে
নানাবিধ মানুষগুলো নানা রঙের
নানা পদের, নানা ঢঙের।

মায়ের কোলে সন্তান
নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার সর্বোত্তম স্থান
বাবার কাঁধে যদি থাকে মাথা
নিশ্চিন্ত নির্ভাবনা মনেতে রয় গাথা
সন্তানের কাঁধে যদি বাবা-মা হয় ভার
কেন এত কম পড়ে যায় রে হায়!
সন্তানের বড্ড যে টানাটানির সংসার।

ছোট বেলায় ভাই-ভাই দুজনা দুজনার
বৌ ঘরে এলো তো আলাদা পরিবার
ভাই-বোন সম্পর্কটা জড়িয়ে থাকে মায়ায়
স্বার্থের সংঘাত তাতে যদি না ফাটল ধরায়।

বন্ধু-বান্ধব!
একরাশ পাগলামি
যথা ইচ্ছে তথা চলা
যা ইচ্ছে কথা বলা
নেই কোন সীমা'র গণ্ডি
তুই তোরা আমি তুমি।

প্রেমিক-প্রেমিকা?
বড্ড নাজুক এ সম্পর্ক
চপলতা, চটুলতা, রাগ, দুঃখ, ঘৃণা
মান অভিমান; কি নেই এতে?
তবুও হঠাত আসা দমকা বাতাসে
সম্পর্কে ফাটল ধরে, পারে না থামাতে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক?
সে তো রামায়ণ থেকে মহাভারত হয়ে
পাহাড় থেকে নেমে এসে সাগরে গিয়ে মেশে
হাঁড়ি খুন্তির লড়াইয়ের কথা কে না জানে?
তবুও সকলেই প্লেট পেতে বসে;
কখনো জাউ ভাত তো কখনো পোলাও
কখনো বৈশাখ তো কখনো হেমন্ত
কখনো তপ্ত দুপুর তো কখনো মধুচন্দ্রিমা
পরস্পর জড়িয়ে থাকে একে অন্যের সাথে
কখনো অভিমানে মুখ ফেরে তো কখনো পথ গোনে
ভালোবাসার স্পর্শের অপেক্ষার কড়ানাড়া
খুব অল্প ব্যতিক্রম বাদে আদতে বিশ্বাসের এ সম্পর্কটি
পরস্পর নির্ভরতায় ভরা।

সম্পর্ক গড়ে
সম্পর্ক ভাঙে
নানা রঙের নানা ঢঙের মানুষের সাথে
কারণে আর অকারণে।





পূর্ণতা


পূর্ণতা
- যাযাবর জীবন


অর্ধেক মন
অর্ধেক শরীর
একটু দেখা চোখের
একটু স্পর্শ ঠোঁটের
অর্ধেক আবেগ মনে
অর্ধেক ভালোবাসা কামে
দুই অর্ধেকে মিলে পূর্ণ যে নাম
তাকে কি প্রেম বলে?

মন মরে গেলে শরীর দিয়ে কি হবে?
কিংবা শরীর মরে গেলে?
ভালোবাসা কয়দিন, বাসা বেঁধে রবে মনে?

শুধুমাত্র অনুভবে কি ভালোবাসা হয়?
পড়ে থেকে দুজন দু-ভুবনে।