সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

সাদাকালো রঙ



সাদাকালো রঙ
- যাযাবর জীবন

সবার মনে রঙ
সবার মনে ঢং
সব রঙের মন সাজাতে হবে সব রঙে
সব ঢঙের মান ভাঙাতে হবে সব ঢঙে;
আমি না হয় সাদাকালোই রইলাম
বাস্তব মেনে।


ভালোবাসার নোনাবাতাস



ভালোবাসার নোনাবাতাস
- যাযাবর জীবন

আমার অশ্রু কান্নার
তোর অশ্রু ভালোবাসার
নোনা হতে হতে ভালোবাসাও কান্না হয়
কান্নার অশ্রু'তো আর ভালোবাসা নয়;

আমরা বেদনায় কাঁদি
কাছে আসা আর না আসার
পরস্পর ছুঁতে পারা আর না পারার
দুজন দুজনকে ভালোবাসা আর না বাসার;

তবুও আমরা প্রতিদিনই ভালোবাসি
প্রতিদিনই ঘৃণায় জ্বলি
চোখেতে বাষ্প গড়ি
বাতাস নোনা করি,
কারণে আর অকারণে;

যখন তখনই আমাদের মনে নোনাবাতাস বয়
সব লবণজল'তো আর কান্না নয়।





শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

ব্যঞ্জনপ্রেম



ব্যঞ্জনপ্রেম
- যাযাবর জীবন


অস্থির অসময়ের অদৃশ্য বলয়ে সকলেই যেন অশান্ত
আকাঙ্ক্ষিত আগামীর আশায় আঙিনা জুড়ে আকুল আষাঢ়ে স্বপ্ন
ইঁচড়েপাকা ইচ্ছেগুলো ইতস্তত মুখ থুবড়ে ইষ্টিশনে পড়ে থাকে বিকল ইঞ্জিনের মত
ঈশানকোণে ঈর্ষামেঘের ইঙ্গিতে ঈর্ষাকাতর মনে ঈর্ষানল জ্বলে উঠলেই ভালোবাসা ঈগল ডানায়
উম্মাদিয় উপস্থাপনার উপহাসে উৎসর্গ উভয়ের প্রেম উপাখ্যান
ঊর্বশীর ঊরুসন্ধির ঘ্রাণে ঊর্ধ্বশ্বাস ঊনকোটি ঊর্মিমালীর
ঋতুতে ঋতুতে রঙ বদল প্রকৃতি ও নারীর, ঋণ শুধতে হয় শুধুই নরের
একা একা চলার পথে এলেবেলে একটু হাওয়ায় এটেল মাটির ন্যায় এঁটে বসে একাকীত্ব
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঐকল্য ঘুচিয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক হতে পারাই যেন আজকালকার প্রেমের ঐতিহ্য
ওড়নার তলে ওম নিতে ওৎ পেতে থাকা প্রেমিকের ওষ্ঠ শুকিয়ে আসে হিসেবের ওলোটপালট হলে
ঔজ্জ্বল্য মরে যায় ভালোবাসার, ঔদ্ধত্যে কিংবা ঔদাস্যে।






ঘুমঘোরে স্বপ্নদের ঠুকঠাক


ঘুমঘোরে স্বপ্নদের ঠুকঠাক
- যাযাবর জীবন

অনেক দিন হলো গল্পটা অসমাপ্ত রয়ে গেল
অনেক দিন হলো কবিতাটা লেখা হলো না
অনেক দিন হলো ছবিটা আঁকা হলো না
ইদানীং কোন কিছুরই ইচ্ছে জাগে না;
বেলা কেটে যায় ছোট ছোট ভাত-ঘুমে
স্বপ্নেরা আসে ছোট ছোট স্প্যানে
মাথায় ঠোকর দিয়েই উড়ালডানা,
বড্ড বিরক্ত লাগে;
পানিতে বাতাস ঠোকরায় মাছগুলো
গাছে কাঠঠোকরার ঠুকঠুক ঠুকঠুক
স্বপ্নদের ঠোকরের আমার মাথায় তবলার তালে
আর ঠোঁট ঠুকরে মধু খেয়ে যাস তুই ঘুমঘোরে
আমি রক্তের স্বাদ পাই ঘুম ভেঙ্গে;

অসমাপ্ত রয়ে যায় জীবনের ছোট ছোট গল্পগুলো
অসমাপ্ত ছবি আর কবিতাগুলো
স্বপ্নে অধুরা তুই
অসমাপ্ত আমি;
ঘুমঘোরে স্বপ্নদের ঠুকঠাক
বেশ কেটে যাচ্ছে জীবন, অতৃপ্ত তৃপ্তিতে।

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

শীতল


শীতল
- যাযাবর জীবন

দেহের গরমে পারদের ওঠানামা শরীর জুড়ে
কাম মিটে গেলে সেই তো বরফ
তুই
আমি
দুজনে;
প্রেমের পারদের ওঠানামা মনের ভাপে,
ঈর্ষায় ভাপে সূর্য গরম
অভিমানে চন্দ্রে গ্রহণ
থার্মোমিটারের কি এসে যায় প্রেমে অথবা কামে?
পারদের ওঠানামা'তো শুধুই ঠাণ্ডা কিংবা গরমে;

তোর গরমে শীতল হতে হতে আমি বরফ হয়ে গিয়েছি
কিংবা তোর
ঈর্ষা
আর অভিমানে,
শিহরণ জাগে না এখন আর তোর চুমে।



শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫

গ্রহণ



গ্রহণ
- যাযাবর জীবন

রাত নেমে আসতেই তুই চাঁদনি হলি
ভালোবাসার সাথে বোঝাপড়া শেষ হয় নি আমার
আলো সবার
আমি অন্ধকার
তুই প্রেমের সূর্য জ্বেলে পূবাকাশে
আমিই গ্রহণ তোর আকাশে।



আলো আঁধার


আলো আঁধার
- যাযাবর জীবন

দিন শেষ হওয়ার আগেই আমি অন্ধকার হয়ে যাই
সূর্যের সাথে বোঝাপড়া শুধুই তোর;
চাঁদ সবার
আমি চাঁদনির,
এবার তুই জ্যোৎস্না হয়ে যা;
রাত শেষ হওয়ার আগেই আমি আলো হতে চাই।



মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

দেয়া নেয়া


দেয়া নেয়া
- যাযাবর জীবন

সম্পর্কগুলো বেশিরভাগই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
অর্থ
ভালোবাসা
কিংবা শরীরবৃত্তীয়;
গ্রহণ করতে হয় ততটুকু
দানের ক্ষমতা আছে ঠিক যতটুকু
হোক সে অর্থ
ভালোবাসা
কিংবা অন্যকিছু;
আর নয়তো লোভের শুরু বিন্দুতে
পাপ গড়ায় সিন্ধুতে
স্বার্থে কিংবা ভালোবাসায়
অথবা নিছক মন দেয়া নেয়ায়;
দানের আনন্দ বোঝে সে
মন খুলে দিতে পারে যে
অর্থ
ভালোবাসা
কিংবা অন্যকিছু;
গ্রহণের মাঝে আছে শুধুই দৈনতা
হোক সে অর্থ
স্বার্থ
কিংবা নিছক ভালোবাসা।




সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

আশীর্বাদ


আশীর্বাদ
- যাযাবর জীবন

তোর চাঁদেতে থাকুক আমার স্পর্শ একটুখানি
অমাবস্যার রাত্রি আমি কালো অনেকখানি
তোর সূর্যে ভাগ নেব না চাই না দিনের আলো
ভালোবাসায় মেঘ হয়ে যাই অন্ধকারের কালো;
একলা তুই একলা আমি একলা রাতের চাঁদ
ভালোবাসার হাতছানিতে অনেক গভীর ফাঁদ
একলা রাতে একলা বনে একলা হরিণ কাঁদে
পড়েছিল সেও যে বাঁধা গভীর প্রণয় ফাঁদে;
যেদিন আমি থাকব না কান্না বুকে ভিজুক
আমার কথা মনে করে চাই না কেও কাঁদুক
জ্যোৎস্না কিরণ তোর ওপরে চিরদিনই থাকুক
কেও তো মনে খুব গভীরে তোকে ভালোবাসুক।



আজো ক্ষরণ



আজো ক্ষরণ
- যাযাবর জীবন

তোর চোখের দিকে তাকাই নি
আজ
কাল
বা পরশু;
কথা হয় নি তোর সাথে
এমাসে
গতমাসে
কিংবা পুরো সৌর-বছরে;
অনেক অনেক দিন হয়ে গেছে
দেখা হয় নি তোর সাথে,
এর মাঝে পার হয়ে গেছে
কত চন্দ্রমাস
কত সৌর-বছর
কে তার হিসেব রেখেছে?

হয়তো এখন তোর বাগানের শিউলি গাছটা ফুল ফোটানো বন্ধ করে দিয়েছে
কিংবা আমার লাগানো বেলি গাছটা মরে মাটির সাথে মিশে গেছে;
বয়সের ভারে আজ আমি ন্যুজ
তবু তোর গায়ের শিউলিঘ্রাণ আমার নাকে বাজে আজো
এখনো কলি ফোটা তাজা তোর লাবণ্য
ভালোবাসা এখনো আমার মনে ঠিক তেমনি তোর জন্য;
আর বুকের ভেতরকার কষ্টটা ঠিক তেমনি রক্ত ঝরায়
ক্ষরণগুলো কাঁচা হয়ে ওঠে তোর কথা মনে করায়;
আজ
কাল
পরশু
কিংবা
ভালোবাসার প্রতিরাতে।



সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫

ঘড়ি টিক টিক



ঘড়ি টিক টিক
- যাযাবর জীবন

বালু-ঘড়ি থেমেই যায় বালু শেষ হলে
চাঁদ উঠলেই থেমে যায় সূর্যের কাটা
কিংবা আঁধার নেমে এলে;

পরতে পরতে মেঘ জমেছে বালু-ঘড়ির গায়
টিক টিক কাঁটা থেমে এলো বলে
অনেক সময় পাবি কান্নার,

সূর্য ডোবার আগে দেখে নে আমায়।






রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

অনুভবে গাছ



অনুভবে গাছ
- যাযাবর জীবন

ভালোবাসা কিংবা ঘৃণা
সে তো মানবীয় গুণাবলি,
আমি মানুষ'কে ভালোবাসতে পারি নি
ঘৃণা করা তো কখনো শিখিই নি;
তবুও কেন বিব্রত করো বারবার আমায়?
তোমাদের অযাচিত ভালোবাসায়;
কেন মাখিয়ে দেও মনের যত ঘৃণাগুলো?
ভালোবেসে আমার সারা গায়।

পাহাড়ে হয়তো ঝর্ণা বয় ভালোবাসায়
লোহায়ও মরচে ধরে উগরে দেয়া ঘৃণায়;
ঝর্ণা কিংবা মরচে'তে গাছের কি এসে যায়?
গাছ বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।




গাছ


গাছ
- যাযাবর জীবন

পাখিরও নাচতে মন চায়
ভালোবাসা পেলে
কিংবা প্রেমিকের তরে;
মানুষ তো কোন ছার!

মানুষ ভালোবাসা বোঝে,
গাছ নয়;
মানুষ মানুষকেই ভালোবাসে
স্বাভাবিক ভাবে;
তবুও কেও কেও ভুল করে গাছের প্রেমে পড়ে
যেমন তুই;
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে রই।


চক্রবুহ



চক্রবুহ
- যাযাবর জীবন

অস্থির প্রেমিক প্রেমিকা
অস্থির মন
অস্থিরতা বোঝে সে'ই
প্রেম করেছে যে জন;

আমি অস্থির তার জন্য
তুই অস্থির আমার জন্য
সে অস্থির তোর জন্য
মন অস্থির প্রেমের জন্য
প্রেম অস্থির শরীরের জন্য
ধন্য ধন্য প্রেম ধন্য
কাম মিটে গেলে সব শূন্য;

তুই
আমি
সে ও তার মধ্যে
প্রেমের চক্রবুহ;
হায় প্রেম, ধন্য ধন্য
প্রেম উন্মুক্ত, সবার জন্য।


শুকনো একা



শুকনো একা
- যাযাবর জীবন

চোখের বাইরে পুরো পৃথিবী
ভেতরে শুধুই তুই
মনের ভেতর কতজনের উঁকি!
আমি মন-বন্ধ করে রই,
চারিদিকে মানুষের ঢল
আদতে মন একা
বুকের এপাশটায় তোর বাস
ওপাশটায় ব্যথা।

পাহাড়ি ঝর্ণায় পাথরের ওপরে যতই শ্যাওলা জমুক
ভেতরটা রয়ে যায় শুকনো খটখটে,
পাথর ভাঙ্গতে পেরেছে কে, কবে? হৃদয়ের আঘাতে;
ঝর্ণা জলে তৃপ্তি মিটিয়ে নে
লবণ হওয়ার আগে।




শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

দাম্পত্য



দাম্পত্য
- যাযাবর জীবন

অন্য এক ভুবনে তৈরি হয় সম্পর্ক,
যার নাম দাম্পত্য;

এ ভুবনে সূত্রপাত চোখাচোখিতে
তারপর চেয়ে থাকা
অপলক বা চোখচোরা,
স্পর্শে পুলক
হালকা কুয়াশার ঝলক
শীত গভীর হতে হতে
সম্পর্ক জাঁকিয়ে বসে,
তারপর হাতের চুড়ি থেকে বিয়ের নোলক
মধুচন্দ্রিমা? পড়ে না চোখের পলক;
বিছানায় বিলীন
সম্পর্ক কুলীন
সংসারে মধুর ঢল
হাসি খুশি ছলছল।

সূর্যের গোলায় দিন গড়ায়
চাঁদের গোলায় রাত
ওহে সম্পর্ক আছে কি এখনো?
দুজনের হাতে হাত;
মাসের গড়ানোতে বছর গড়ায়
বছর গড়িয়ে যুগ
ওহে সম্পর্ক এখনো কি চেহারায়?
প্রথম দেখার চাঁদমুখ।

জোড়ায় বেধে যুগ কেটে গেলো
তবে তো সম্পর্ক সত্যি আঠালো
আর নয়তো সম্পর্কটুকু শুধুই
বিয়ের পিঁড়িতেই ছিল।

সে ভুবনের সম্পর্ক
এ-ভুবনে লাগে জোড়া
যখনই শরীরে যৌবনের তাড়া;
ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙ্গে সংসার
আর না হয় ঝুলে থাকে সুতোয়
বিশ্বাস আর ভালোবাসা ছাড়া।

দম্পতি সবাই রাতের বিছানায়
দাম্পত্য কাঁদে কেন আঁধারে?




গন্ধ



গন্ধ
- যাযাবর জীবন

খৈ ফোটে বালুতে
মরুর গরমে
তপ্ত দুপুরে;
তোর চোখে ঘৃণা
পুড়ে যাই আমিও
তাকালে অন্ধকারে;

কেও পোড়ায় ভালোবাসায়
কেও ভালোবাসাটাই পুড়িয়ে ফেলে
ঘৃণার আগুন জ্বেলে;
লু বাতাসে প্রেম পোড়া ছাই ওড়ে
যেখানে সেখানে,
এখনো কোথায় জানি
হৃদয় পোড়া গন্ধ ভাসে
ঈর্ষার আগুন তলে;

আমি তো কবেই ডুব দিয়েছি
দিঘির শান্ত জলে। ।


শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

বাকি



বাকি
- যাযাবর জীবন

সেদিন হাতে হাত ছোঁয়া লাগতেই তুই অবাক
কেঁপে উঠেছিলি তোর ঠোঁট;
চিবুকে হাত বুলিয়ে দিতেই হয়েছিলি নির্বাক
ভয়ে কাঁপছিল তোর বুক;
ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতেই তুই আমার হলি
বুকের ভেতর আপন করে জাপটে নিলি;
বাতাসে ভালোবাসার গন্ধ পাচ্ছিস কি?
তবে কেন খোঁপায় বেলি জড়ালি?

বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে একটু তোর গাঁয়ের গন্ধ শুঁকি
আচ্ছা, আজ থাক;
ওটা না হয় রইলো বাকি।



বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫

ভার্চুয়াল কাব্য চোর



ভার্চুয়াল কাব্য চোর
- যাযাবর জীবন


চোর চুরি করে
খুব স্বাভাবিক
গৃহস্থের মন পুড়ে
বাকি সবাই চোরকে দেয় ধিক্;
তোমাদের না হয় আছে কাড়ি কাড়ি অর্থ
আমার শুধুই কবিতা, 'তোর' জন্য নিঃস্বার্থ
আমার তো মন পুড়ে
কবিতা চোর যখন আমার ঘরে।

আরে বেটা চোর,
কাব্য চুরি শুধুই তো তোর সুন্দরী পটানোর স্বার্থে
রেখে নে না রে বেতন-ভুক্ত লেখক
তোর ব্যাংক উপচানো অর্থে;
ব্যাংক লুটে মিটে নি তোর ক্ষুধা?
কার তরে লুটতে চাস ভার্চুয়ালে কাব্যের সুধা?
আমার কলম কি লিখে বোঝার সাধ্য কি আছে তোর?
তুই তো শুধুই এর ওর প্রোফাইলের নিম্ন-সারির এক কাব্য চোর;
আগে তাও নিজের লিঙ্গে তোকে প্রোফাইলে পেতাম উপস্থিত
ধরা খাওয়ার পর দেখি লিঙ্গটাই বদলে ফেলেছিস,
নারী লিঙ্গ নিয়ে কেন ফেইক আইডি খুলেছিস?
তুই নারী? না পুরুষ? না হিজরা?
প্যান্ট খুলে লিঙ্গ দেখে নিস।

ও হে নারী পরিচয়ের নপুংসক
ধিক্ ধিক্ ধিক্, তোকে হাজারো ধিক্।










বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

পূর্ণ-মানবী ও অর্ধ-মানব



পূর্ণ-মানবী ও অর্ধ-মানব
- যাযাবর জীবন

তোর হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাতে না পারলেও
নাগুলো সব সময়ই মেনে নিয়েছি,
অর্ধেক খুশি বিলাতে না পারলেও
অর্ধেক দুঃখ তো কমিয়েছি!
অর্ধ-মানব অর্ধেকটুকু বোঝে
প্রেম
ভালোবাসা
কিংবা ঘৃণার;
আমার কাছে অবোধ্য পূর্ণ-মানবী
তাদের ভালো লাগা
আর না লাগা,
অপূর্ণ মানবের জন্য তাদের
প্রেম প্রীতি কিংবা ঘৃণা;
আমি পূর্ণ হতে চাই না,
না পাওয়ায়, না দেওয়ায়;
স্বার্থপর পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ হতে আমার কি পরেছে দায়?
হতে চাই না আমি পূর্ণ-মানব,
চাই না পূর্ণ হতে
ভালোবাসা কিংবা ঘৃণায়।



ভুক্তভোগী



ভুক্তভোগী
- যাযাবর জীবন

চুমুরও-তো ইচ্ছে জাগে মাঝে মাঝে উড়তে ঠোটের ওপর
দেহ ছোটে দেহের তরে
মুঠো মুঠো প্যারাসিটামলে কি আর
তোকে চাওয়ার কামজ্বর সারে?

ঘুম স্বপ্নেও এখন আর দেখি না তোরে
লুটিয়ে পড়তে বুকের পরে;
তবুও চোখ খুললেই ভুগি কেন
"তুই" নামক হাহাকারে............



প্রহর


প্রহর
- যাযাবর জীবন

ওরাও প্রেম করে
তারাও প্রেমে মজে
পশু বা পাখি হোক
জীবন সবার তরে;

মানবের দোষ হয় পদে পদে
প্রেমে পরে, প্রেম করে;
আর শুকনো ঠোঁট প্রহর গোনে
চুমুর তরে।


অন্ধকারের ওপারে


অন্ধকারের ওপারে
- যাযাবর জীবন

মনের গহীনে যখন অন্ধকারের কোলাহল
দুপুরের বুক চিরেও নামে অমাবস্যার কালো ঢল,
শীতের কুয়াশা যেন রাতের জ্যোৎস্না ঢাকা চাদর
সেই কতকাল হয়ে গেছে! তোকে করি নি সেভাবে আদর;
ইদানীং বড্ড মন কেমন করে
তোর তরে, তোর তরে,
তোকে বড্ড বেশি মনে পড়ে
আলো কিবা অন্ধকারে।
কোথায় তুই?
জ্যোৎস্নার ছায়াতলে?
নাকি অমাবস্যার ওপারের আলো ঘরে?
অন্ধকারের বিষণ্ণ গান বাজে অশরীরী সুরে
তোর কথা মনে হলে
মনঘরে, মনঘরে।
মনের গ্রহণে চোখে পর্দা পড়লে
হারিয়ে যায় মনের মানুষ অন্ধকারের ওপারে
চিরতরে, চিরতরে।


যখন তখন



যখন তখন
- যাযাবর জীবন

মেয়েদের প্রেমে পড়ার কোন কারণ লাগে না
কারণ লাগে না কাছে আসার
কারণ লাগে না ভালোবাসার
কারণ লাগে না ভুলে যাওয়ার
লাগে না কারণ ছুড়ে ফেলার;
দাসত্ব ইচ্ছার, শৃঙ্খলিত মন
যুক্তি-তর্কের ধার ধারে না
লাগে না ভালোবাসা কিংবা ঘৃণার কোন কারণ;
মনে প্রেম আসে যখন তখন
আর ভালোবাসে পাগলের মতন
যখন তখন, যখন তখন;

ভালোবাসার অত্যাচার সইবার ক্ষমতা দেয়া হয় নি আমায়;
যখন তখন, যখন তখন।

দুঃখ-বিলাস



দুঃখ-বিলাস
- যাযাবর জীবন

কবিতার খাতায় গল্পও লেখা যায়
জীবন'তো আর কবিতা নয়;
কেও স্বপ্নেও কবিতা লেখে
কারো জীবন কণ্টকময়;
আমি না হয় দু:খই লিখলাম চাঁদনী মনে করে
তোর জীবন হোক জ্যোৎস্নাময়।

লোনা কাব্য



লোনা কাব্য
- যাযাবর জীবন

জলের বিছানায় শুয়ে
কান্নার মেঘ ছুঁয়ে দিতেই
তোর চোখ থেকে মুক্তা গড়ালো,
আমি ধরতে যেতেই অশ্রু হলো,
টুপ করে ঝরে পরতেই ঝর্ণা;
সময়ের পিঠে চেপে কুলকুল রবে সাগরে পড়তেই
সাগরের জল লোনা;
ভাগ্যিস সেদিন তোর অশ্রু ধরতে পারি নি!
তাই তো আজো লোনা কাব্য লেখা হয়
জলের বিছানায় শুয়ে
ফোঁটা ফোঁটা কান্না গড়ায়
চোখের কোল বেয়ে;
তোর কথা মনে হলে।