মানুষের ভেতরে পশু
- যাযাবর জীবন
মানুষ হতে হলে মনুষ্যত্ব লাগে
পশু হওয়া যায় খুব সহজেই;
পশুর খুব কাছে আসতে নেই
যে কোন সময় আঁচড়ে দিতে পারে
কামড়ে দিতে পারে
ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষতি করতে পারে,
বিশেষ করে মানব পশুর;
একদিন তুই কাছে এসেছিলি
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ে নষ্ট করেছিলাম তোকে
তারপর থেকে তুই নষ্টা মেয়ে,
আমার গায়ে কিন্তু কলঙ্ক লাগে নি;
আমি সেদিনও পশু ছিলাম
আজও আছি
মানব পশু;
শারীরিক ক্ষুধায় মনুষ্যত্ব কাজ করে না
সে পেটের ক্ষুধাই হোক
কিংবা কামের,
পেটের ক্ষুধা মিটে গেলেই কাম মাথা চাড়া দেয়
আর তখন সবাই পশু,
মানব পশু;
চামড়ার খাঁচায় কিছু হাড়গোড়
কংকাল এর ভেতর হৃদপিণ্ড
ওখানে লাল লাল রক্ত
মানুষ কিংবা পশুর,
কোন কোন হৃদপিণ্ড মনুষ্যত্ব ধারণ করে
তোমরা তাকে মানুষ বলো
আমার শুধুই ক্ষুধা
শুধুই পশুত্ব;
কোন এক সময় আমিও মানুষ ছিলাম
কিছু স্বপ্ন ছিলো চোখে
কিছু ভালোবাসা ছিলো হৃদয়ে,
স্বপ্ন ভেঙে যেতে সময় লাগে না
সময় লাগে না ভালোবাসা মরে যেতে,
আজ আমাকে দেখ!
মানুষের চামড়ার মোড়ানো কিছু রক্ত মাংস,
মন মরে মাটি হয়ে গেছে কবেই!
মনুষ্যত্ব মরে পশুত্ব,
এখন একমুষ্টি হৃদপিণ্ডে নিয়ন্ত্রণহীন পশুত্বের চাষাবাদ
আর অপেক্ষা শরীরটা মাটি হওয়ার;
আজ
কাল
কিংবা পরশু,
মানুষ হিসাবে কবর দিও কিন্তু!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন