সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অন্ধকারের ক্ষুধা




অন্ধকারের ক্ষুধা
- যাযাবর জীবন


শরীরে বড্ড ক্ষুধা;

আচ্ছা!
ক্ষুধা কি শরীরে?
নাকি পেটে?
তবে কেন কাম ঝরে চোখে?

এই যে এত এত ভালো ভালো প্রেমের কথা!
কত কত রাত জেগে কত কত জ্যোৎস্না
কত কত সময় নিয়ে চোখাচোখি কথা
কত ইনিয়ে বিনিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ
তারপরই না একটুকু ছোঁয়াছুঁয়ি
কিছুদিন হাতে হাত
চোখেচোখে কি এক অনুনয়!
আরেকটু সময়
একটু অগ্রসর চায়ের কাপে
হাতে হাত খেলতে খেলতে হাত চলে যায় গালে
গালে হাত বুলোতে বুলোতে স্পর্শ ঠোঁটে
প্রথমে একটুখানি হাতের স্পর্শ
তারপর আরেকটু সাহস
ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই ভালোবাসার আদর;

এভাবে আরো কিছু দিন
তারপর তো কামনা
ডাক দেয় বিছানা,
ওটুকু যেতে কারো মাস লেগে যায়
কারো আরেকটু বেশী সময়,
দিনে দিনে বিছানা ডাকলে তাতে ভালোবাসা কোথায়?
ও তো শুধুই শরীরে শরীর;

এই যে এত চেষ্টা
এত এত সাধনা
প্রেমের আলাপন
ভালোবাসার কাব্য কথন,
পরিণতিতে বিছানা?
ধ্যাত!
বড্ড সস্তা হয়ে গেলো না?

আধাঘণ্টার শরীর ছানাছানি
দশ সেকেন্ডের রাগ-মোচন
তারপর দুজন দুপাশ ফিরে ক্লান্তির ঘুম,
ভালোবাসার কাব্যে মাঝে কোলবালিশটা বড্ড বেমানান;

এই যে চাঁদ, চাঁদনি আর জ্যোৎস্না
এই যে মেঘ, বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা হাওয়া
এগুলো কিছু না?
তবে কি রাগ-মোচনের আগের অনুভবটাই ভালোবাসা?

আমি ভালোবাসার অনুভূতিটাই বুঝতে পারি না
আমার কাছে কামই প্রেম
অন্ধকারের ক্ষুধা
তারপর গভীর নিদ্রা নেমে আসে ক্লান্ত শরীরে;

রতি-ক্লান্ত শরীর তো ঘুমায়
তবুও কেন দুচোখ জেগে জেগে শার্সির ওপাশের অন্ধকার দেখে?

কিছু কিছু প্রশ্নে উত্তর জানা হয় না।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন