আমাদের সবারই বোধহয় এক একটা মুখোশ আছে,
প্রত্যেকের মুখোশ প্রত্যেকের থেকে ভিন্ন
মুখোশের আড়ালে লুকানো ভিন্ন এক জীবন;
দোকানের মুখোশগুলো আড়াল করে মুখ
মনের মুখোশ আড়াল করে অনুভূতিগুলোকে
অনুভূতিহীন আবার মানুষ আছে?
কত রকম চেহারাই তো মনের থাকে!
থাকে কতরকম অনুভূতি!
মনের অনুভূতি আড়াল করি মুখোশ ঢেকে
কারো ভেতরটা কষ্টে ভরে থাকে
আনন্দে মুখোশ মানুষের সামনে;
কারো ভেতরটা রিপুতে কালো হয়ে থাকে
ভালোমানুষির মুখোশ মানুষের সামনে;
বাবা'দের সর্বংসহা একটা মুখোশ আছে
সংসারের হাল টানতে টানতে ক্লান্ত
অথচ সন্তানের সামনে সদা হাসি মুখ;
মায়েদের মুখোশ চেনো? ওটাও সর্বংসহাই
সংসারের শত কাজে ক্লান্তির চরমে গা এলিয়ে গেলেও
কিছু একটা চেয়ে দেখ? ঠিক হাসিমুখে সন্তানের সামনে;
ভাই-ভাই'য়ে ঝগড়া! ভাই-বোনে, বোনে-বোনে!
বাসায় তিক্ততার চরমে
অথচ মানুষের সামনে কি সুন্দর মিলমিশের মুখোশ এঁটে!
বৌ-শাশুড়ি! ননদ-ভাবী!
কোন বাসায় নেই হাড়ি-কুড়ির ঝনঝনানি?
অথচ মানুষের সামনে মিলমিশের মুখোশ এঁটে;
আচ্ছা! এগুলোকে কি হিপোক্রেসি বলে?
নাকি মুখ লুকোনো মনের কাছ থেকে?
কিংবা মনের চেহারা ঢেকে রাখা মানুষ হতে?
সবাই মুখোশটাই দেখে
কেও দেখতে চায় না কেমন আছে তোমার মন;
তুমি দেখাতে চাও? তবে কেন কান্না চেপে মানুষ হাসাও?
মুখোশের আড়ালে কেটে যায় বৈপরীত্যের আরেক জীবন।
০৩ জুলাই, ২০২০
#কবিতা
বৈপরীত্যের মুখোশ
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন