ভার্চুয়ালটা বড্ড তামশার জায়গা
বিশেষ করে ফেসবুকটা
এখানকার ফেসগুলো বড্ড মেকি
বুক বলতে কি বই বোঝায়? হবে হয়তো,
আচ্ছা! বুকের ভেতরকার হৃদয় নাকি?
প্রফাইল ছবির চেহারায় তো লিঙ্গ বোঝা যায়
তবে ছবির পেছনে আসলে ছেলে না মেয়ে, বোঝা বড্ড দায়!
মানুষের চেহারায় পশুত্বের ছাপ দেখি
মুখোশের আড়ালে ভয়ঙ্কর সব মানুষ, মেকি
আচার আচরণে পশুত্বের আবরণে এরা কি মানুষ নাকি?
মেয়েগুলো সব রঙ দিয়ে সং সাজে
আদতে পুরু মেকআপ এর আবরণে চেহারার বারটা বাজে
ছেলেগুলো কিছু সস্তা লাইকের লিপ্সায় মেয়ে সাজে
ফেক একটা সুন্দরী মেয়ের ছবিতে কমেন্টের বান ডাকে
আমার বোধগম্য হয় না কি অর্জন হয় তাতে?
আমারও খুব ইচ্ছে করে একদিন একটা ফেক আইডি খুলব ফেসবুকে
ফেসটা কার দেয়া যায় বলতো তাতে?
সুন্দরী কোন নায়িকা! নাকি কন্ট্রোভারসিয়াল মিয়া খলিফা?
কিংবা সানি লিয়ন হলে কেমন হয়?
হুমড়ি খাওয়া বোকা ছেলেগুলোর কমেন্ট দেখতে ইচ্ছে হয়;
মেয়েগুলো বরং এদিক দিয়ে সরেস বুদ্ধিমতী
লিঙ্গ পরিবর্তন করতে হয় না, চেহারায় শুধু একটু এডিট আর কাটাকুটি
ইদানীং কত এ্যপসই তো আছে প্রৌঢ়াকে বানায় ষোড়শী
যাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তাদের ষোড়শী ছবি দেখি আর হাসি
ফেসবুক কত রঙেই না রঙিন! কম আর বেশি;
পাউট চেনো? ঐ যে বাঁকা চেহারা?
কিম্ভুতকিমাকার মুখভঙ্গিতে কি পায় তারা?
লাইক আর কমেন্টের এত লিপ্সা?
আরে! তোদের আসল চেহারাটা যে হয়ে যাচ্ছে ঝাপসা!
ইদানীং ভার্চুয়ালটা আসলেই বড্ড ভ্যাপসা।
১৭ জুলাই, ২০২০
#কবিতা
ভ্যাপসা ভার্চুয়ালে
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন