শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

বিড়াল মরে



বিড়াল মরে
- যাযাবর জীবন


যখন আমি ছোট্ট ছিলাম
বেশ কাটতো হেলা খেলায়
মায়ের চোখ পাশ কাটাতাম
লুকিয়ে পড়ে দাদীর ছায়ায়
বেশ কেটেছে ছেলেবেলা
বেশ কেটেছে কিশোর জীবন
সমস্যাটা চলে এলো
যখন দেহে একটু যৌবন;

একদিন এক মেয়ে দেখলাম, মনের মাঝে ভীষণ কেমন
স্কুল পালালাম বেশ কয়েকদিন মায়ের বকা যেমত তেমন
একদিন খুব সাহস করে গেলাম মেয়ের পিছু পিছু
মেয়ে ভাবলো ছেলেধরা কিংবা হয়তো অন্য কিছু
সে যে কি ভীষণ চিৎকার! শুনতে যদি তোমরা একবার
কান মলেছি তারপর থেকে, জীবনে ও পথ মাড়াবো আর

সময় গেলো সময় গলো
শরীরে পূর্ণ যৌবন এলো
মেয়ে দেখলেই ছোঁকছোঁক
আমার তখন শরীরে জোঁক

একদিন হঠাত চোখে পড়লো রিক্সায় এক অপ্সরা
মনের মাঝে বাঁশি বাজলো, খুশিতে আমি আত্মহারা
হোন্ডা তখন ছিলো আমার নিলাম পিছু মনের বলে
পার্কে ঢুকে দেখি মেয়ে, শুয়ে আছে বন্ধুর কোলে
চোট বড্ড লেগেছিলো সেদিন আমার ঐ কচি দিলে
কার না খারাপ লাগে বলো মনের সাথে এমন হলে?

তারপর অনেকদিন পার হয়ে গেলো
কত সুন্দরী এলো গেলো!
আমার চোখে ঐ অপ্সরা
বন্ধুর হাতে বগল তলা;

একদিন অনেক মনের দুঃখে চলে গেলাম সাগর পারে
সূর্যাস্তের লালাভ আলোয় পরী দেখি এক বালির ধারে
মনের ভেতর কেমন কেমন মৃদুমন্দ সাগর বাতাস
ছটফটানি ছটফটানি বড্ড আমার মনটা উদাস
সূর্যাস্তের অনেক পড়েও সাগর পারে কৌতূহলে
দেখব আমি পরী মেয়েটি থাকছে কোথায় কোন হোটেলে
পাশের হোটেলে ছিলো তারা রাত্রি বেলায় পেলাম খোঁজ
হানিমুনে এসেছে তারা, থাকছে গত তিন রোজ
আমার কেন এমন হয়? দুর্ভাগ্য ঘিরে রয়
রাতের বাসে ঢাকায় ফিরলাম, নারী-ভাগ্য আমার নয়;

অনেকদিন পর একদিন খুব হঠাত একটা মেয়ে কাছে এলো
সামনে বসে চোখে চোখে খুব আচানক চোখ তাকালো
কোমল কণ্ঠে বললো আমায়, তোমায় আমার ভালো লাগে
মাথা তখন ঝিমঝিমাঝিম এ কথা কেও বলেনি আগে,
সেই যে এলো, থেকেই গেলো
বিয়ের পিঁড়িতে সবাই বসালো
তারপর আর আমি কোথায়?
বৌ এর আঁচল যখন যেথায়;

চলছে জীবন রেলের গাড়ি
বাপের বাড়ি শ্বশুর বাড়ি
বৌ এর মন যখন যেথায়
পেছন পেছন আমি সেথায়

শখ ছিলো একটা প্রেম করবো
হাতি ঘোড়া বাঘ মারব
বিয়ের পরে বৌটা ঘরে
খাটের ওপর বিড়াল মরে।




০১মে, ২০২০

















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন