আমি প্রায়শই সমুদ্রের ধার ঘেঁষে হেঁটে যাই
দূর দূরান্তের পথে, বালিয়াড়ি ধরে;
একদিন হাঁটতে হাঁটতে চাঁদের মত একটা মেয়ে চোখে পড়েছিলো
দেখতাম প্রায়শই সমুদ্রে পা ভিজিয়ে বসে থাকতো
আর তাকিয়ে থাকতো চাঁদের দিকে
জ্যোৎস্না গায়ে মাখতো
আর না দেখা এক প্রেমিকের কথা ভাবতো
চাঁদের কলঙ্কে জ্যোৎস্নার কি আসে যায়
কিই আসে যায় সমুদ্রে পা ডুবিয়ে থাকা মেয়েটির ভাবনায়!
একদিন চাঁদ দেখতে দেখতে সে চেপে বসে এক মনের চন্দ্রযানে
তারপর উড়ে চলে দূর দূরান্তের পানে
ঐ তো দেখা যায়, ঐ দূরে কে যেন!
অনেকটা তার স্বপ্ন পুরুষের মত
প্রেমিক হবে কি?
জানে না;
বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, জানার আকাঙ্ক্ষায়
একদিন দুদিন তিনদিন তারা ফুলবনে ঘুরে বেড়ায়
তারপর একদিন চন্দ্রযানে ঘুরে আসে মঙ্গল থেকে
তারপর কোন একদিন স্বপ্ন পুরুষ তাকে প্রেম নিবেদন করে
আর মেয়েটি ভাসতে থাকে প্রেম জোয়ারে
দুজন ডুবতে থাকে সমুদ্রের গভীরে
ভালোবাসা তো সমুদ্রই, তাই না?
কদিন বেশ চুটিয়ে প্রেম চলে তাদের
দুজনই ডুবে দুজনই ভাসে
আর ডুবডুবান্তি খেলায় ক্ষণে ক্ষণে তারা খিলখিল হাসে,
বেশ কেটে যাচ্ছিলো সময়গুলো
একটা স্বপ্ন সবেমাত্র গড়তে শুরু করেছিলো দুটো অন্তরে,
ঘর বাঁধার?
হয়তো!
তারপর একদিন হঠাৎ কোথা থেকে এক দমকা হাওয়া এলো
দরজা জানালা বন্ধ করতে না করতেই প্রচণ্ড ঝড়
বাইরে লণ্ডভণ্ড ঝড়, ঝড় তাদের ভেতরে, ঝড় সম্পর্কে
খুব তুচ্ছ কিছু কারণ নিয়ে,
থাকুক না হয় সেগুলো গোপন হয়ে;
ধীরে ধীরে আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে
চাঁদ লুকিয়ে পড়ে অমাবস্যা হয়ে
ওদিকে প্রেমিক তার মনের সমস্ত বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে
এদিকে মেয়েটি আঁতিপাঁতি হারানো প্রেম খোঁজে,
বুঝতে চেষ্টা করে কোথায় ভুল হয়েছিলো তার!
বুঝতে বুঝতেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার;
তারপর একসময় চিরতরেই হারিয়ে যায় প্রেমিক
যেভাবে হঠাৎ এসেছিলো ঠিক সেভাবেই হঠাৎ করে, হঠাৎ আসা প্রেম সাধারণত হঠাৎই মিলিয়ে যায়
কেও সাবধান হয় আর বোকারা ডুবে যায়
আর মেয়েটির প্রতিমুহূর্ত কাটে প্রেমিকের ফিরে আসার অপেক্ষায়;
আজো মেয়েটিকে মাঝে মাঝেই দেখি
সমুদ্রে পা ভিজিয়ে বসে থাকে
আর চেয়ে থাকে ঐ দূরে, শূন্যদৃষ্টিতে
আমি হঠাৎ হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি
- কেন লবণ বাড়াচ্ছিস সমুদ্রের?
সে চমকে তাকায় আমার দিকে, বিহ্বল উত্তর দেয়
- ওপার থেকে যদি সে সমুদ্রের লবণ চাখে!
- যদি আমার কান্না চেখে চিনতে পেরে ফিরে আসে!
আমি জিজ্ঞাসা করি
- ফিরে আসলেই তাকে গ্রহণ করবি?
এবার সে হেসে উত্তর দেয়
- না রে! আগে ভালোবাসার কাটাকুটি খেলব,
তারপর বড্ড সাধ, একবার তার লবণ চাখার;
মেয়েটি আবার ঘুরে বসে
বোবা হয়ে চেয়ে থাকে দূর সমুদ্রের দিকে
হয়তো ভালোবাসা পোড়াচ্ছে তীব্র রোদে!
আমি আবার হেঁটে চলি দূর দূরান্তের পথে, বালিয়াড়ি ধরে।
০১ আগস্ট, ২০২০
#কবিতা
হঠাৎ আসা প্রেম
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
দূর দূরান্তের পথে, বালিয়াড়ি ধরে;
একদিন হাঁটতে হাঁটতে চাঁদের মত একটা মেয়ে চোখে পড়েছিলো
দেখতাম প্রায়শই সমুদ্রে পা ভিজিয়ে বসে থাকতো
আর তাকিয়ে থাকতো চাঁদের দিকে
জ্যোৎস্না গায়ে মাখতো
আর না দেখা এক প্রেমিকের কথা ভাবতো
চাঁদের কলঙ্কে জ্যোৎস্নার কি আসে যায়
কিই আসে যায় সমুদ্রে পা ডুবিয়ে থাকা মেয়েটির ভাবনায়!
একদিন চাঁদ দেখতে দেখতে সে চেপে বসে এক মনের চন্দ্রযানে
তারপর উড়ে চলে দূর দূরান্তের পানে
ঐ তো দেখা যায়, ঐ দূরে কে যেন!
অনেকটা তার স্বপ্ন পুরুষের মত
প্রেমিক হবে কি?
জানে না;
বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, জানার আকাঙ্ক্ষায়
একদিন দুদিন তিনদিন তারা ফুলবনে ঘুরে বেড়ায়
তারপর একদিন চন্দ্রযানে ঘুরে আসে মঙ্গল থেকে
তারপর কোন একদিন স্বপ্ন পুরুষ তাকে প্রেম নিবেদন করে
আর মেয়েটি ভাসতে থাকে প্রেম জোয়ারে
দুজন ডুবতে থাকে সমুদ্রের গভীরে
ভালোবাসা তো সমুদ্রই, তাই না?
কদিন বেশ চুটিয়ে প্রেম চলে তাদের
দুজনই ডুবে দুজনই ভাসে
আর ডুবডুবান্তি খেলায় ক্ষণে ক্ষণে তারা খিলখিল হাসে,
বেশ কেটে যাচ্ছিলো সময়গুলো
একটা স্বপ্ন সবেমাত্র গড়তে শুরু করেছিলো দুটো অন্তরে,
ঘর বাঁধার?
হয়তো!
তারপর একদিন হঠাৎ কোথা থেকে এক দমকা হাওয়া এলো
দরজা জানালা বন্ধ করতে না করতেই প্রচণ্ড ঝড়
বাইরে লণ্ডভণ্ড ঝড়, ঝড় তাদের ভেতরে, ঝড় সম্পর্কে
খুব তুচ্ছ কিছু কারণ নিয়ে,
থাকুক না হয় সেগুলো গোপন হয়ে;
ধীরে ধীরে আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে
চাঁদ লুকিয়ে পড়ে অমাবস্যা হয়ে
ওদিকে প্রেমিক তার মনের সমস্ত বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে
এদিকে মেয়েটি আঁতিপাঁতি হারানো প্রেম খোঁজে,
বুঝতে চেষ্টা করে কোথায় ভুল হয়েছিলো তার!
বুঝতে বুঝতেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার;
তারপর একসময় চিরতরেই হারিয়ে যায় প্রেমিক
যেভাবে হঠাৎ এসেছিলো ঠিক সেভাবেই হঠাৎ করে, হঠাৎ আসা প্রেম সাধারণত হঠাৎই মিলিয়ে যায়
কেও সাবধান হয় আর বোকারা ডুবে যায়
আর মেয়েটির প্রতিমুহূর্ত কাটে প্রেমিকের ফিরে আসার অপেক্ষায়;
আজো মেয়েটিকে মাঝে মাঝেই দেখি
সমুদ্রে পা ভিজিয়ে বসে থাকে
আর চেয়ে থাকে ঐ দূরে, শূন্যদৃষ্টিতে
আমি হঠাৎ হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি
- কেন লবণ বাড়াচ্ছিস সমুদ্রের?
সে চমকে তাকায় আমার দিকে, বিহ্বল উত্তর দেয়
- ওপার থেকে যদি সে সমুদ্রের লবণ চাখে!
- যদি আমার কান্না চেখে চিনতে পেরে ফিরে আসে!
আমি জিজ্ঞাসা করি
- ফিরে আসলেই তাকে গ্রহণ করবি?
এবার সে হেসে উত্তর দেয়
- না রে! আগে ভালোবাসার কাটাকুটি খেলব,
তারপর বড্ড সাধ, একবার তার লবণ চাখার;
মেয়েটি আবার ঘুরে বসে
বোবা হয়ে চেয়ে থাকে দূর সমুদ্রের দিকে
হয়তো ভালোবাসা পোড়াচ্ছে তীব্র রোদে!
আমি আবার হেঁটে চলি দূর দূরান্তের পথে, বালিয়াড়ি ধরে।
০১ আগস্ট, ২০২০
#কবিতা
হঠাৎ আসা প্রেম
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন