মানুষের বড্ড অহংকার টাকার
অহমিকা রূপের
দম্ভ ক্ষমতার
কারো অল্প স্বল্প কারো পুরোটা স্বত্বা জুড়ে
পা পড়ে না তাদের মাটিতে, ভাবে আমি কি হনু রে
অথচ মানুষ ভুলে যায় সৃষ্টি তার এক ফোঁটা নোংরা বীর্য থেকে;
এই যে তোর টাকার অহংকার!
কাড়ি কাড়ি টাকা আর গাড়ি গাড়ির গর্ব
আলিশান বাড়ি, নিজেই ব্যাঙ্ক বানিয়ে বসেছিস আজ!
আচ্ছা! টাকাগুলো এসেছে কোথা থেকে?
ঘামঝরা শ্রমে? সাদা পথে?
নাকি কালো পথে?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে অতীত দেখে
ভুলিস না তোর সৃষ্টি নোংরা বীর্য থেকে
এই যে রূপের অহংকার!
উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, পানকাট চেহারা, কে দিয়েছে?
আচ্ছা! বলতে পারিস যৌবন কদিনের?
তারপর তো পার্লার, আর তারপর না হয় কসমেটিক সার্জারি!
টাকার বলিহারি; তারপর?
শরীরের ভেতরের একটা মন থাকে না? একবার একটু দেখতো আয়নাতে!
তোর গৌরবর্ণ চামড়ার মত ফর্সা কি?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে ভেতর দেখে, নিজেকে যেচে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর নোংরা বীর্য থেকে
এই যে তোর আজকের ক্ষমতার দম্ভ!
কিসের বলে? কদিন ধরে?
টাকায় কেনা? আচ্ছা! টাকাটা সবসময় থাকে রে?
অস্রের বলে? সেও তো টাকারই জোর, তাই না রে?
রাজনীতি? আরে ও তো ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রঙ, বদলায় নীতি
পাশার দান পাল্টে গেলে! একবার ভেবেসিছ তখন কি হবে?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে বিবেক চেখে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর নোংরা বীর্য থেকে
এই যে এক ফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি!
কে করলো? কেন করলো? কখনো ভেবেছিস কি?
নাকি তুই শুধুই অহংকার, অহমিকা আর দম্ভের মাটি?
অথচ আজ মাটিতে পা পড়ে না তোর,
তুই যে মাটি, সেটা তো জানিস? মানিস?
নাকি স্বীকার করতে অহংবোধে বাঁধে? অহমিকায় লাগে?
দম্ভে কি আঘাত দিলাম? মাটি বলে;
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে মানুষ হয়ে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর একফোঁটা নোংরা বীর্য থেকে
তারপর?
একদিন তো সেই মাটিতেই যাবি
অহংকার, অহমিকা আর দম্ভ সব একসাথে পেঁচিয়ে নিয়ে
সাদা কাপড়ে,
আর মিশতে হবে মাটিতে, মাটি হয়ে
ঘুমাতে হবে মাত্র সাড়ে তিন হাত ঘরে, অন্ধকারে।
১১ আগস্ট, ২০২০
#কবিতা
অহংকার, অহমিকা আর দম্ভের মাটি
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
অহমিকা রূপের
দম্ভ ক্ষমতার
কারো অল্প স্বল্প কারো পুরোটা স্বত্বা জুড়ে
পা পড়ে না তাদের মাটিতে, ভাবে আমি কি হনু রে
অথচ মানুষ ভুলে যায় সৃষ্টি তার এক ফোঁটা নোংরা বীর্য থেকে;
এই যে তোর টাকার অহংকার!
কাড়ি কাড়ি টাকা আর গাড়ি গাড়ির গর্ব
আলিশান বাড়ি, নিজেই ব্যাঙ্ক বানিয়ে বসেছিস আজ!
আচ্ছা! টাকাগুলো এসেছে কোথা থেকে?
ঘামঝরা শ্রমে? সাদা পথে?
নাকি কালো পথে?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে অতীত দেখে
ভুলিস না তোর সৃষ্টি নোংরা বীর্য থেকে
এই যে রূপের অহংকার!
উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, পানকাট চেহারা, কে দিয়েছে?
আচ্ছা! বলতে পারিস যৌবন কদিনের?
তারপর তো পার্লার, আর তারপর না হয় কসমেটিক সার্জারি!
টাকার বলিহারি; তারপর?
শরীরের ভেতরের একটা মন থাকে না? একবার একটু দেখতো আয়নাতে!
তোর গৌরবর্ণ চামড়ার মত ফর্সা কি?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে ভেতর দেখে, নিজেকে যেচে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর নোংরা বীর্য থেকে
এই যে তোর আজকের ক্ষমতার দম্ভ!
কিসের বলে? কদিন ধরে?
টাকায় কেনা? আচ্ছা! টাকাটা সবসময় থাকে রে?
অস্রের বলে? সেও তো টাকারই জোর, তাই না রে?
রাজনীতি? আরে ও তো ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রঙ, বদলায় নীতি
পাশার দান পাল্টে গেলে! একবার ভেবেসিছ তখন কি হবে?
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে বিবেক চেখে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর নোংরা বীর্য থেকে
এই যে এক ফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি!
কে করলো? কেন করলো? কখনো ভেবেছিস কি?
নাকি তুই শুধুই অহংকার, অহমিকা আর দম্ভের মাটি?
অথচ আজ মাটিতে পা পড়ে না তোর,
তুই যে মাটি, সেটা তো জানিস? মানিস?
নাকি স্বীকার করতে অহংবোধে বাঁধে? অহমিকায় লাগে?
দম্ভে কি আঘাত দিলাম? মাটি বলে;
উঁহু! আমাকে নয়, আয়নাকে জবাব দে মানুষ হয়ে
ভুলিস না সৃষ্টি কিন্তু তোর একফোঁটা নোংরা বীর্য থেকে
তারপর?
একদিন তো সেই মাটিতেই যাবি
অহংকার, অহমিকা আর দম্ভ সব একসাথে পেঁচিয়ে নিয়ে
সাদা কাপড়ে,
আর মিশতে হবে মাটিতে, মাটি হয়ে
ঘুমাতে হবে মাত্র সাড়ে তিন হাত ঘরে, অন্ধকারে।
১১ আগস্ট, ২০২০
#কবিতা
অহংকার, অহমিকা আর দম্ভের মাটি
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিট করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন