রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬

অতিমানব



অতিমানব
- যাযাবর জীবন

জীবনের কালো অধ্যায়গুলো মাথাচাড়া দেয় সুনসান রাতের নিস্তব্ধতায়
মাঝে মাঝে আয়নার দিকে তাকালে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়
যখন পুরনো পাপাচার ব্যঙ্গ করে আয়নার মানচিত্রে
পারদ খসে যাওয়া মানে পাপক্ষয় নয়;
অনুতাপ কাঁদে রাতের গভীরে
ক্ষমা করবে কি প্রকৃতি?
প্রতিরাতে আয়নায় লজ্জিত মুখচ্ছবি দেখি;

পাপাচারের পর যাদের চোখে কান্না ঝরে নি
তারা নমস্য,
আমি অতিমানব খুঁজছি।


ভ্রমণ কল্পলোকে



ভ্রমণ কল্পলোকে
- যাযাবর জীবন

জানালায় হেলান দিয়ে দেখি
আকাশে উড়ছে মেঘের ভেলা
আমারও মন ওড়ে
মেঘ হয়ে মন ভেসে যাই তোর তরে;
আকাশে পাখি ওড়ে, কখনো একলা, কখনো জোড়া
কখনো বা ঝাঁক বেঁধে
আমি মানুষের ঝাঁকে একা হয় যাই তোর কথা মনে এলে
পাখি ডানায় উড়ে যাই তোর ঘরে;
মেঘের ভেলা আর পাখির ডানায় আমি কল্পলোকে
হাতের রেখায় কোথাও খুঁজে পাই না তোকে
মনের খাতায় তুই বুকের মাঝে
বাস্তবে যোজন যোজন দূরে।


অপলাপ


অপলাপ
- যাযাবর জীবন

মনে প্রতিস্থাপিত মন
ঠোঁটে ঠোঁট
শরীর ঘেঁষে শরীরে
কুঁচকানো বিছানার চাদর
সবাই দেখি প্রেম আঁকে;
মনে মন স্পর্শ না হলে
শরীর, শরীর থেকে দূরে থাকলে
চোখে বৃষ্টি নামলে
সবাই দেখি বিরহ ডাকে?

মিথ্যে বলা হবে যদি বলি আমার ঠোঁটে ঠোঁট লাগে নি
সত্যের অপলাপ হবে যদি বলি আমার চোখ লবণ চাটে নি
ভালোবেসেছিলাম কি কখনো?
তোকে?



শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬

বিপরীত অনুভূতি



বিপরীত অনুভূতি
- যাযাবর জীবন

তোর তীক্ষ্ণ অনুভূতিগুলো বোঝার ক্ষমতা নেই
আমার অনুভূতিহীন মনের,
আমি কেবলই শরীর বুঝি
তুই শেখাস প্রেম;
তুই জ্যোৎস্না প্রেমিক
চাঁদ আমার কাছে শুধুই রাত বাতি
বৃষ্টিতে তোর কাব্য ভাব
আমার মাথায় ছাতি,
আমি কঠোর বাস্তবে চলি
বাস্তবতায় তোর ভয়
সূক্ষ্ম আর স্থুলো অনুভূতি সামনা সামনি হলে
সম্পর্কের অবশ্যম্ভাবী ক্ষয়;
কোথায় মেঘ?
কোথায় বৃষ্টি?
তবুও আমা'তেই কেন তোকে ভিজতে হয়?
প্রেমে কিংবা কান্নায়,
কাটিয়ে ভালোবাসাহীন সময়।


শরীর সাধনা



শরীর সাধনা
- যাযাবর জীবন

প্রেম ভেতর নয়
প্রেম নয় বাহির
প্রেম কামনা
শরীরে শরীর
গাছের মাথা উঁচু পাহাড় দেখতে
না হোক সঙ্গম, তৃপ্ত আত্মরতিতে;
স্পর্শ প্রেমের শরীর সাধনা
ভালোবাসা খুঁজতে গন্তব্য বিছানা।


বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬

শ্রেণিভেদ



শ্রেণিভেদ
- যাযাবর জীবন

তোরা ওপর তলার মানুষ
মস্ত তোদের বাড়ি মাটির অনেক ওপরে আবাস
তোদের হিসাবে আমাদের স্থান অনেক নিচে
টিনের চালা ঘরে'তে আমাদের বাস,
তোদের আর আমাদের মাঝে শ্রেণিভেদের অদৃশ্য পর্দা
পর্দা সরে গেলেই সর্বনাশ;
গাড়ি ছাড়া তোদের এক কদম চলে না
হিম শীতল এসির ঠাণ্ডায়, নরম সিটে এলিয়ে গা
আমাদের হাঁটা পথ শীত গ্রীষ্ম বর্ষায়
কদম মিলিয়ে পায়ে পা;
কখনো চোখাচোখি হয়ে গেলে তাচ্ছিল্য চোখে
বিরক্তিতে মুখ ফেরাস আকাশের দিকে
বড্ড বিব্রত হই আমরাও তখন
হাঁটা ধরি তোদের উল্টো দিকে;
তোদের
আমাদের
উহাদের
তাহাদের
সাদা কালো বাদামী, ওপরের চামড়ার বর্ণ
ভেতরে লাল কাটলে সকলের,
বর্ণ বৈষম্য মানুষেরই তৈরি
উঁচু নিচু ভেদাভেদে মনে'তে বৈরী
জীবন কতদিনের? মরণ অবধি,
মাটির সৃষ্টির মাটিতেই সমাধি;

এত অহংকার কিসের রে তোর?
হে মূর্খ মানব!





স্বপ্ন ঘোরে স্বপ্ন জগতে



স্বপ্ন ঘোরে স্বপ্ন জগতে
- যাযাবর জীবন

রাতের পর রাত তোকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো
পুড়ে ছাই ভোরের সূর্যে
হয়তো কিছু বেঁচে যায় মেঘের ছায়ায়
গলে গলে পড়ে বৃষ্টির কান্নায়,
আমার দীর্ঘশ্বাসের ক্লান্ত দিন
আর রোদে পোড়া বৃষ্টিতে ভেজা স্বপ্নগুলো
সূর্য ডোবার অপেক্ষায়
আবার নতুন স্বপ্ন দেখবে বলে, রাতের কালিমায়;
স্বপ্ন ঘোরে স্বপ্ন জগতে বারবার মন ছুটে যায়
স্বপ্ন দেখবে বলে মনের অলীক কল্পনায়।


বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

খেয়ালী স্বপ্ন



খেয়ালী স্বপ্ন
- যাযাবর জীবন

এক একটা রাত্রিতে মন খেয়ালী
এক একটা রাত্রি স্বপ্ন দেখবার
এক একটা রাত্রির নীরবতায় তোর নিঃশ্বাস
এক একটা রাত্রি আসে মন হারাবার
এক একটা রাত্রির বাতাসে তোর স্পর্শ
এক একটা রাত্রি তোকে মনে করার;
ওরে অন্ধকারের মেয়ে একবার সামনে এসে দাঁড়া
নয়তো আমার খেয়ালী স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে যাবে তোকে ছাড়া।


মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬

নষ্ট নারীর নষ্ট কথা



নষ্ট নারীর নষ্ট কথা
- যাযাবর জীবন

ঘরে দুধ শিশু আর পঙ্গু স্বামী
ভাতের যুদ্ধে পরাজিত মা কিংবা স্ত্রী,
বুভুক্ষু শরীরে লালসার চাষ
চাল ফলে ক্ষুধার্তের উদরে;
পেটের ক্ষুধার চাষে হায়েনা শরীর চষে
সন্তানের পেটে দুটো খাদ্য ফলার আশে
ওপরে বিছানায় মাংস বিদ্ধ মাংস
নীচে শিশু সামলায় স্বামী, কানে তুলোর অংশ;
মাংস চেটে গলি পথে কুকুর হেঁটে যায়
বিবেকের শব টাকা গোনে নোংরা বিছানায়
পেটে নির্লজ্জ ক্ষুধা প্রতি রাত প্রতিদিন
শরীর বিক্রি করে খাদ্য তৈরির মেশিন;
রমণ ক্লান্তিতে নষ্ট নারী আঁচলে বুক ঢাকে নির্লিপ্ত মন বন্ধ
রাতের বাতাসে ঘরজোড়া ঘর্মাক্ত অন্তর্বাসের গন্ধ;

শিশু দুধ খায়
স্বামী ভাত চড়ায়।


নেমন্তন্ন



নেমন্তন্ন
- যাযাবর জীবন

আমার ঘরের সবুজ চা ধুসর
মাটির কাপে ঠোঁট ছোঁয় নি কারো,
শীতে কাঁপছে বর্ষা ভিজে
আসে নি অতিথি কদম নিতে,
হয়তো আসবে কেও পাতা ঝরার দিনে
ধুলোমাখা নূপুর পায়ে;
হয়তো সেদিন আমি ঘুমিয়ে যাব
হেমন্তের বিকেলে।


সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

তো'তে ডুব



তো'তে ডুব
- যাযাবর জীবন

বেলা ডুবছিল যখন জীবন সায়াহ্নে
হাত ধরেছিলি তুই ভালোবেসে
এলো চুলে টেনে নিতে প্রেমের সরোবরে
দেখছিলাম মরণ পাখির ওড়াউড়ি জীবন আকাশে
আমায় নিয়ে যেতে চির ঘুম ঘরে;
আমি বলেছিলাম তোকে চোখে চোখ চেয়ে
সময় ঘনিয়েছে আমার ওপারে পাড়ি জমাবার
যদি কোন একদিন হুট করে ঘুমিয়ে পড়ি
না ফেরার খাটে শুয়ে,
কোথায় লুকোবি কান্না সেদিন
লবণ ফেলবি কোন সাগরে?
হাতটা শক্ত চেপে ধরে পিছু ফিরেছিলি সেদিন
চোখ লুকোতে
আমা হতে।

ওরে পাগলি,
তুই মরণ বুঝিস জীবন বুঝিস না?
আমি হাসিতেও তোর
কান্নায়ও তোর
তো'তেই ডুবে আছি
ভোর থেকে গোধূলি পেরিয়ে
চাঁদ থেকে সূর্য অবধি।




রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

অন্ধকার ভালোবাসা



অন্ধকার ভালোবাসা
- যাযাবর জীবন

আমি ছবি আঁকতে পারি না
তবুও তোর অবয়ব আঁকা হয়ে যায়
মনের ক্যানভাসের পাতায়;
নিজের অজান্তেই।

আমি কবিতা লিখতে পারি না
তবুও পেন্সিলের দাগ পড়ে যায়
তোকে ভালোবাসতে গিয়ে কবিতার খাতায়;
নিজের অজান্তেই।

আমি ভালোবাসতে পারি না
তাতে তোর ছিল বড্ড অভিমান
তবে কেন গাইছিস আজ বিরহের গান?
নির্ঘুম চোখে।

তুই দিনের মত তুই আলো
আমায় ভালোবেসে তুই মন করেছিলি কালো
অন্ধকার রাতে আয়নায় ছায়া পড়ে না;
আমি অন্ধকার, আমি কালো।



খেলার পাত্র



খেলার পাত্র
- যাযাবর জীবন

তুই কি আজ সত্যিই ভালো আছিস আমা থেকে দূরে
সাত সমুদ্দুর তের নদীর ওপারে,
কেন গিয়েছিস ওখানে, কিসের মোহে পরে?
ভালোবাসার ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে আমার মাঝে;

তুই কিন্তু আজো বেঁচে আছিস আমার মাঝে আগের মত করে,
আমি কি বেঁচে নেই তোর মাঝে? তোর মনের ঘরে;
প্রেমের ছোঁয়াচে ভাইরাস তোকে কি কাবু করে নি একটুও?
আমার মত করে;
আমি জানি তোর দেহের পরতে পরতে এখনো আমার গন্ধ
তোর নিঃশ্বাস আমার চুমুর বিষে আজো হয়ে যায় বন্ধ
আজো তুই চাঁদ দেখিস প্রতি চাঁদনি রাতে, একা একা
আজো তুই বৃষ্টিতে ভিজিস প্রতি বর্ষায়, একা একা
আজো তোর নির্ঘুম রাত কাটে আমায় ভেবে ভেবে
তবুও ভালোবাসা ভাইরাসে আক্রান্ত আমরা দুজন, দু-ভুবনে
নিয়তির খেলার পাত্র হয়ে।



শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

সম্পর্কের টানাপোড়ন


সম্পর্কের টানাপোড়ন
- যাযাবর জীবন

একটা পাহাড় বরফ ঘেরা
একটা ঝড় পাহাড়ি ধ্বস
বরফ গলা পাহাড়ি ঝর্ণা
সমতলে নদী মিঠে পানি
সাগরে গড়াতে লবণ
পাহাড়ের কান্না;
পাহাড়, বরফ, ঝর্ণা
নদীর বয়ে যাওয়া আর সাগরের লবণ
প্রকৃতি মালা গাঁথে সম্পর্কের
পাহাড়ের সাথে সাগরের;

একটা বিবাহ
একটা সম্পর্ক
আইনের কাগজে মোড়া,
একটু ভুল বোঝাবুঝি
কিছু অভিমান
রাগ দুঃখ কান্না আর অপমান
খুব সূক্ষ্ম সুতায় সম্পর্ক দোদুল্যমান
ভালোবাসা না থাকলে কাগজের কি দাম?

সম্পর্ক প্রকৃতির
সম্পর্ক মানবের
সুঁই এ গাঁথা সুতোয় বাঁধা,
এক হলে হাসে
সামনে জীবনের ঔজ্জ্বল্য দেখে,
কিংবা বিচ্ছিন্নতায় কাঁদে
পেছনে ফেলে যায় মায়া;
আমরা আকাশে শুধু উড়ন্ত ঘুড়িটাই দেখি
লাটাইয়ে জড়ানো সুতোয় বাঁধা
কিংবা সুতো ছেঁড়া;
আকাশে ঘুড়ির সুতো কে দেখে, খালি চোখে?
সম্পর্কের টানাপোড়ন কে দেখে, দূর থেকে?
সম্পর্কের বিচ্ছেদ হলে কে ছাড়ে, পিছুকথা বলতে?


বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

বিবেক ঢাকা আছে



বিবেক ঢাকা আছে
- যাযাবর জীবন

আলোর অনেক গভীরে অন্ধকার কালো;
দিনের আলোতে রিপু ঢেকে রাখাটাকে
কেও কেও আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেছে
সফেদ শুভ্র দাঁড়িতে বেশ সুফি সুফি লাগে
পাঁচ ওয়াক্ত কপাল ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ পড়ে গেছে
অথচ অন্ধকার হলেই ভাদ্রের কুকুর,
গিন্নি বাসায় ইদানীং একটা কাজের ছেলে রেখেছে;

মাইনের টাকা কি আর সংসার চলে?
ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্যের কোঠায়
লোভের লেনদেন খুব অগোচরে টেবিলের তলায়
মাঝে মাঝেই লেপের তুলো মেঝেতে ছড়ায়
সুঁই সুতো হাতে গিন্নি লেপ সেলায়
তোষকের নীচে কজন লেপ বিছায়?
আমরা বাইরে আলো দেখি
ঘরের ভেতর অন্ধকার;

আমার রিপু ঢাকা সূর্য দিয়ে,
তোমারটা?
বাসার আয়না ভেঙে ফেলেছি
বিবেক ঢাকা দিতে;
দর্পণে মুখ দেখি না, কতদিন হয়ে গেছে!



কক্ষচ্যুত



কক্ষচ্যুত
- যাযাবর জীবন

অনেকটা অন্ধকার পেরিয়ে তবেই আলো
অথচ দিন পাড়ি দিতে না দিতেই রাত
ঘুমঘোরে স্বপ্ন
জাগরণে তোর দাগ,
চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র
যার যার নিজস্ব কক্ষে
কক্ষচ্যুত তুই
কক্ষচ্যুত আমি
ভালোবেসেছিলাম বলে;

দাবানলে বন পুড়ে
প্রেমানলে তুই
পাথর হয়ে গেছি আমি
স্থবির পরে রই।



মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

চাঁদে আগুন



চাঁদে আগুন
- যাযাবর জীবন

আজ পূর্ণিমা
আকাশে ফিনিক ফোঁটা জ্যোৎস্না
আজ পুড়ে যাচ্ছে অন্ধকার
চাঁদনির আগুন চাঁদে
পুড়ছে রাত্রি জ্যোৎস্নায়
পুড়ছে অন্ধকার পূর্ণিমায়
পুড়ছি আমি তো'তে;
কেও চন্দ্রস্নান করে চাঁদনি রাতে
কেও চাঁদ ধরে বামন হাতে
আমার বাড়ানো হাত তোর দিকে
তোর বাড়ানো মন সূর্যের পানে
তুই
আমি
আর প্রেম,
সবাই শূন্য হাতে অন্ধকারে
ক্ষরণ কথা বলে;

যোজন যোজন দূরত্ব তোর আর আমার মাঝে
যোজন যোজন দূরত্ব চাঁদ আর সূর্যে;
দূরত্ব ঘুচবে কি অন্ধকারে?
চল একবার চেষ্টা করে দেখি অমাবস্যায়
তুই আর আমি মিলে।




দিবাস্বপ্নে চাঁদ



দিবাস্বপ্নে চাঁদ
- যাযাবর জীবন

দেখেছিস কতদূর?
চোখ যায় যতদূর;
চোখে ছানি এলে?
কাটিয়ে নেব নয়তো দেখব মনের চোখে;

চিনেছিস আমায়?
দেখেছি মনের আয়নায়;
কাঁচ ভেঙে গেলে?
ভাঙা কাঁচে পা কাটে ভালোবাসা মনের ঘরে;

রাতের অন্ধকারে দিবাস্বপ্ন দেখছিস কেন?
স্বপ্ন না দেখলে চাঁদ ধরব কিভাবে?


সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

প্রেমের জ্যামিতি



প্রেমের জ্যামিতি
- যাযাবর জীবন

উত্তুরে বাতাস দখিনে বয়
পূবের সূর্য ডুবে পশ্চিমে
আমার নৈর্ঋত যাত্রা
তো তোর ঈশানে,
চুমুর আঠায় ঠোঁট লাগুক আর না লাগুক
প্রেমের ঠোকাঠুকি চলতেই থাকে মনে
দাম্পত্য জীবনে;
ঊষালগ্নের ভালোবাসা কখনো রাগে লাল সন্ধ্যের সূর্যে
অথচ প্রেম প্রহরের অর্ধ গোলক পূর্ণ হয়নি তখনো
রাগের লাল অভিমানের মেঘে কালো হয় মনে কান্না এলে
পাথরে দাগ কাটে না নোনাজল
হৃদয়ে বিষাদের শ্যাওলা,
রাত নামলে মাঝে কোলবালিশ
খাটের দুপাশে দুজন পেছন ফিরে;

রাতের নির্জনে শরীর কথা বলতেই
চুমু ঠোঁটে
অভিমান গলে পড়তেই ভালোবাসা বুকে
বিছানায় ঝড় উঠতেই প্রেম তুঙ্গে;
দাম্পত্য এমনই এক টক ঝাল তেতো মিষ্টির সমারোহ
কখনো হাসি কখনো কান্না কখনো বা বিরহ
প্রেমের বলয়ে বন্দী এক সম্পর্ক;
ভালোবাসা কখনো ব্যস পূর্ণ করে
কখনো ব্যাসার্ধে থমকে যায়
বৃত্ত থেকে বের হয়েছে কে কবে?
বৃত্তবন্দী সম্পর্ক পরিধি ছিঁড়ে যখনই বের হতে চায়
ব্যঙ্গ করে প্রেমের জ্যামিতি।




রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬

ভুলের ভুল



ভুলের ভুল
- যাযাবর জীবন

ভালোবাসা মানে কি ভুল করা?
না ভালোবাসাই ভুলে ভরা?
কেও ভালোবাসে ভুল করে
কেও ভালোবেসে ভুল করে;
ভুল মানুষকে স্থান দেয় ভুলের ঘরে
তবুও মানুষ মাত্রই ভালোবেসে যায় বারে বারে
ভুল করে
আর ভুল করে,
ভুলের ভুল ভালোবাসা
তোর আর আমার মনের ঘরে।





শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬

পদচিহ্ন মনে



পদচিহ্ন মনে
- যাযাবর জীবন

পদচিহ্ন রয়েই যায়
তোর হেঁটে যাওয়া পথে;
অনেক ধুলো জমে গেছে ফিরে যাওয়া পথে
কিংবা হাজারো পায়ের ছাপের তোর পায়ের ছাপ হারিয়ে গেছে
তবুও তোর ফিরে যাওয়ার পদচিহ্ন এখনো অনুভবে;
ফিরে যাওয়া মানে কি বিদায়?

চলে যাওয়ার সময় পথ দেখিয়েছিলি আমায়
আঙুল তুলে,
তর্জনীতে আমার পেছন ফেরার পথ
বৃদ্ধাঙ্গুলি তোর দিকে;

অবোধ্য সেই ভাষা বোঝা হয় নি বলে
আজো দাঁড়িয়ে আছি একই জায়গায়
তোকে ভেবে ভেবে,
যেখান থেকে তুই হেঁটে গিয়েছিস
পদচিহ্ন পিছু রেখে।





শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬

ঘুমঘোরে ঘুমস্বপ্ন



ঘুমঘোরে ঘুমস্বপ্ন
- যাযাবর জীবন

দিনভর রাতের অপেক্ষা
রাতভর তোর
মাঝে মাঝে অল্প কিছু বিরতি,
কিছু বিরতি অলীক স্বপ্নের
কিছু বিরতি আকাশ কুসুম কল্পনার
আর অল্প কিছু বিরতি চুমুর
তারপর আবার অপেক্ষা তোকে জড়িয়ে ধরে
মনে মনে;
দিন থেকে রাত অবধি।

তুই অলীক
আমি কল্পনায়
ভালোবাসা স্বপ্নে
চুমু ঠোঁটে
প্রেম অষ্টপ্রহর
কি এসে যায় দিনে কিংবা রাতে?

তারপর হাঠাৎই একদিন স্বপ্ন খেলবে না আমার চোখে
হঠাৎ করেই তোর স্বপ্নে চুমু পাবি না আর ঠোঁটে,
সেদিন বুঝে নিস হারিয়ে গিয়েছি ঘুমঘোরে মাটিতে,
খুব হঠাৎই;
সেদিন কান্না বসবে কি তোর দুচোখে?





বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

পদচিহ্ন



পদচিহ্ন

- যাযাবর জীবন

আবার কবে দেখব তারে
চোখে চোখ রেখে
সন্ধ্যের আলো আঁধারে,
কবে আবার হেঁটে যাব
হাতে হাত রেখে
দুজনে মিলে সাগরের পার ধরে,
এবার দেখা হলে খুঁজে পাব কি
আমাদের পদচিহ্নগুলো, পুরনো পথে
বালিয়াড়ি খুড়ে খুড়ে।






প্রেমের বারোমাস



প্রেমের বারোমাস
- যাযাবর জীবন

বৈশাখ শুরু প্রেমের ঝড়ো বাতাসে
জ্যৈষ্ঠে প্রেম পাকে
গ্রীষ্মটা প্রেমের গরমে,
আষাঢ়ে ছাড়া ছাড়া ঝগড়া বৃষ্টি
শ্রাবণে কান্না অনাসৃষ্টি
বর্ষায় ভেজে মন;
ভাদ্রে কাম গলে লালা কুকুর জিহ্বায়
আশ্বিনে কাশ বনে
শরতে মন উদাস,
কার্তিকে নবান্ন
অগ্রহায়ণে প্রেম ধানের সাথে
হেমন্তে নাচে মন;
পৌষে কুণ্ডলী বুকের কাছে
মাঘে খুনসুটি লেপমুড়ি
শীত ওড়ে কুয়াশায়,
ফাল্গুনে রঙ লাগে মন বনে
চৈত্র প্রেম খেলায়
বসন্ত মন দোলায়;
তারপর ক্রমাগত:
দিনের পর দিন কাটে
মাসের পর মাস
বছর গড়িয়ে বছর
যুগের পর যুগ,
নারীর ছল নদীর জল
কখনো খরা কখনো শ্রাবণ
কখনো ঝড় কখনো পবন
নারী নাচায়
নর নেচে যায়
কিংবা দহনে হারায়।

নারীর ছলনার এক মাস
নরের দহনের এগারো মাস
হাসি কান্না রাগ অভিমান
প্রেমের বারোমাস।


সম্পর্কে সর্বনাশী মনকলা



সম্পর্কে সর্বনাশী মনকলা
- যাযাবর জীবন

ভালোবাসা নয়
প্রতি ঘণ্টায় কথা বলার নাম
কথায় কথায় কৈফিয়ত
রাগ আর অভিমান
বাজারে বিকোয় না ভালোবাসা
শুধু শুধুই মনকলার দরদাম;
ব্যস্ত জীবন সবার
ব্যস্ততা বাস্তবতার
এত সময় কোথায়
প্রতি ঘণ্টায় কথা বলার?
ভালোবাসার মানুষকে বুঝতে হয়
ভালোবাসা অর্জন করে নিতে হয়
তবেই না সম্পর্কে সুবাস
আর নয়তো মনকলায় সম্পর্কের সর্বনাশ।


বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬

মাঠ আকাশ ও উঠোন




মাঠ আকাশ ও উঠোন
- যাযাবর জীবন

একটা হৃদয়
দিগন্ত মাঠ,
পশু পাখির আনাগোনা
একটা মন ছড়ানো
ধান ঠোকরায় কাক
ঘাস খায় গরু
হৃদয় কামড়ে
ক্ষত রয়ে যায়
হৃদয় জুড়ে;

একটা হৃদয়
বিশাল আকাশ,
অতিথি পাখি ওড়ে
ডানা ঝাপটায় ঘুরে ঘুরে
শীতের বিদায়ে পাখি বিদায়
মৌসুমি পাখি ঘরে ফেরে
আকাশের বুক চিরে
কিছু মায়ার পালক
আকাশে ওড়ে;

একটা হৃদয়
ঘরের উঠোন,
নূপুর পা
নাচে ঝনঝন
হিলের আঘাতে
রক্তাক্ত কখনো
হেঁটে যায়
নাচে গায়
উঠোন রক্তাক্ত করে;

হৃদয়ের ভেতর মন
পাখির আগমন
উৎফুল্ল,
হৃদয়ের ভেতর মন
নারীর আগমন
ভালোবাসা,
তারপর পাখির উড়ে যাওয়া
নারীর ছলাকলা
মন উদাস,
হয়তো কখনো
একটু এলোমেলো
তারপর নির্লিপ্ত;

মাঠ থাকলে পশু চরবে
আকাশ থাকলে পাখি উড়বে
উঠোন থাকলে নূপুর নাচবে
হৃদয় থাকলে তা ভাঙবে,
শাশ্বত সত্য;

নরের হৃদয় বলে কথা
নারীর ছলনা।




প্রকৃতি মন



প্রকৃতি মন
- যাযাবর জীবন

প্রকৃতি খেলে
রোদ বৃষ্টি আর ঝড় ঝঞ্ঝায়
মনের সাথে মন খেলে
রাগ অভিমান আর হাসি কান্নায়,
প্রকৃতির কি অনুভূতি আছে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে;
অথচ মনের অনুভূতিতে মন
রাগ অনুরাগে হাসি কান্না যখন তখন।

ঝড় বয়ে যাওয়ার পর সুনসান নীরবতা চারিদিকে
ওলোট পালট ভাঙ্গাচুরার চিহ্ন রেখে দিয়ে এখানে সেখানে,
মন ভেঙে যাওয়ার পর হয়তো কেটে যায় জীবন
তবুও বুকের মাঝে কোথায় যেন একটা গভীর ক্ষত,
প্রকৃতির সাথে মানুষের কতই না মিল
তবুও মানুষ প্রকৃতি নয় শুধু তার একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।




মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

জলের ছল



জলের ছল
- যাযাবর জীবন

নদী গড়িয়ে যাবার পরও
রয়ে যায় কিছু জল
নারীর চোখে;
ভাসা ভাসা চোখের ভাষা পড়ার সাধ্য কি আছে নরের?
কিংবা ছলের;
সে তো শুধু জলের বয়ে যাওয়া দেখে।

জলের ছল বোঝায় নারী
কখনো কেঁদে
কখনো হেসে,
ছল বুঝেও নর ভালোবাসে;
কখনো নিজের করে পেলে চোখ হাসে
অথবা না পাওয়ার বেদনায় চোখ ভাসে।




প্রেমের ছোটাছুটি



প্রেমের ছোটাছুটি
- যাযাবর জীবন

সকল প্রেমিকের চোখেই তার প্রেমিকা সবচেয়ে রূপবতী
সকল প্রেমিকার চোখেই তার প্রেমিক সবচেয়ে সুদর্শন,
নব বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রী' ছাড়া কিছু বোঝে না
নব বিবাহিত স্ত্রী তার স্বামী ছাড়া কিছু চেনে না;
তারপর সময়ের স্রোতে সময় গড়ায়
কালের স্রোতে কাল
সংসার জীবন
বাস্তবতার টানাপোড়ন
প্রেম ভালোবাসা? সে তো রাতের বিছানা;

তারপর
নরের চোখে - পরস্ত্রী সুন্দরীতমা, আহা, আহা!
নারীর চোখে - পর পুরুষ ধনকুবের, আহারে, আহা!

চোখাচোখি'তে শুরু প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা
ফুল দিয়ে শুরু স্বামী স্ত্রীর ফুলশয্যা
মহাকাল পাড় হয়ে কোলবালিশটা এখন পড়ে থাকে দুজনার মধ্যখানে
শরীরের চাহিদা মিটে গেলে,
কর্পূর-প্রেমের গন্ধ হয়তো কখনো কখনো
আনমনে ঘুমের ঘোরে
অনেক দূরে
কিংবা কোলবালিশের ওপারে,
খুব মাঝে মাঝে।

"তুই" এখনো দানা বেঁধে আছিস আমার মাঝে
সেই প্রথম দিনের মত,
আজো;
মহাকাল পাড়ি দিয়ে
বার্ধক্যের দোরগোড়ায় এসে।




সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬

তুই'ই কবিতা



তুই'ই কবিতা
- যাযাবর জীবন

আমার জীবনে একটাই কবিতা
- 'তুই'।

বাকি সবই গল্পকথা;

কয়েকটি ছোট গল্পের মত
শেষ হয়ে যায় তবুও হয় না শেষ
কোথায় জানি একটু রয়ে যায় রেশ,
অল্প কিছু একদম কঠোর প্রবন্ধ
জেদি, কঠিন
একদমই বুঝতে চায় না
এক জীবনে একটি তুই এর পর
আর কোন তুই হতেই পারে না;

আমি তো আর কখনই কোন কবিতা লিখব না
- 'তুই হীনা'।




সময় বদল


সময় বদল
- যাযাবর জীবন

আদতে মানুষ কি বদলায়?
নাকি সময় বদলায়
সময়ের সাথে সাথে মানুষের মন
একটু ভালো কিংবা খারাপ যখন তখন;
মানুষ গিরগিটি নয়
তবুও স্বার্থের রঙ বদলের পালায় মানুষ গিরগিটিকেও হার মানায়;

মানুষ আর বদলায় কই?
চাহিদা বদলায়
স্বার্থ বদলায়
সময় বদলায়
কখনো কখনো পুরো জীবনটাই বদলে যায়, স্বার্থ বদলের খেলায়।



রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬

তুই, আমি ও ঘুম গল্প




তুই, আমি ও ঘুম গল্প
- যাযাবর জীবন

তুই ঘুমোচ্ছিস এখন
ঘুমোচ্ছে মেঘ বৃষ্টি আর কান্না
ঘুমোচ্ছে মেঠো পথ ও পিচ ঢালা রাস্তা
আর সূর্যের সাথে সাথে ঘুমোচ্ছে সকাল দুপুর ও বিকেল,
শুধু জেগে আছে রাত
জেগে আছে অমাবস্যা আর আকাশে রাশি রাশি তাঁরা
জেগে আছে জোনাক
জেগে আছে ঝিঁঝিঁ পোকা
জেগে আছি আমি আর অন্ধকার;

একটা কবিতা লেখা হবে কি?
তোর ঘুম ভাঙাতে
কিংবা আমায় ঘুম পাড়াতে;

অনেক দিন ঘুমাই নি কলম হাতে
ডায়রির সাদা পাতা ডাকছে আমায়......

তোকে দেখার খামখেয়ালী ইচ্ছেগুলো নির্ঘুম বেয়াড়া
শুধু শুধুই জাগিয়ে রাখে চোখ, রাতভর;
যে রাতে চাঁদনি ছুঁয়ে দেব
তুই হবি চাঁদ।



শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১৬

বন্ধুর পথ



বন্ধুর পথ
- যাযাবর জীবন

সেদিন বৃষ্টি ছিল অনেক
আমি ছিলাম ঘরবন্দি
তুই মনবন্দি,
সেদিনকার হাওয়াটাও ছিল বড্ড তেজী
আমি বৃষ্টিস্নান বলতেই তুই রাজি
আমার পিছু তুই
তোর পিছু শোক
শোকের পিছু পিছু কিছু শ্লোক
তারও পিছু পিছু কিছু লোক
পিছু লোকের কিছু কথা বাতাসে ভাসে
দুলতে দুলতে কানে আসে
আমি দুল বানিয়ে তোর কানে পড়িয়ে দিতেই
তোর মনবন্ধ
আমি তোতে অন্ধ
তারপর ইতিহাস......

অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল
তোকে
আমাকে
কিছু লোকের কথা পিছু ফেলে;

বন্ধুর পথ।
কি এসে যায়? তুই ছিলি পাশে,
পাড়ি দিয়েছিলাম দুজনে মিলে;
হেলে দুলে।



অর্ধইচ্ছের অর্ধমানব



অর্ধইচ্ছের অর্ধমানব
- যাযাবর জীবন

ইচ্ছে করলেই কি আর মন ভালো হয়?
টুকরো টুকরো মন খারাপের ভেঙে যাওয়া সময়
নাকি ইচ্ছে করলেই ভালো থাকা হয়?
যখন মেঘ আর রৌদ্দুরের ভালোবাসা হয়;

ইচ্ছেসময় পার হয়ে যায় ইচ্ছেমতন
ইচ্ছেগুলো স্বপ্ন হয়ে মনেতে তখন
অর্ধমানবের অর্ধেক ভালোবাসা
অর্ধেক প্রেম অর্ধেক অঙ্ক সুদকষা
অর্ধেক কাম অর্ধেক হিসাবের সরলীকরণ
অর্ধমানবের অর্ধেক বেঁচে থাকা অর্ধমরণ;

অর্ধেক প্রেমের অর্ধইচ্ছে তাপাঙ্কের ওপরে
অর্ধেক ভালোবাসার অর্ধইচ্ছে হিমাঙ্কের নীচে
অর্ধমানব অর্ধইচ্ছেতে মরে ও বাঁচে
পূর্ণমানবীর অর্ধজীবন নোনাজলে ভাসে।


ভালোবাসার অন্ধকার



ভালোবাসার অন্ধকার
- যাযাবর জীবন

রাত পেরোলেই আলোর মেলা
আকাশে সূর্য
মনে ভোর

দিন তো আসবেই রাতের পরে
প্রকৃতির নিয়ম মেনে
বৃথাই মন কালো
প্রেমে দাগা পেয়ে

কেও কেও বৃষ্টি দেখে না
অথচ চোখ ভরা কান্না
শ্রাবণ'তো আসেই ধুয়ে দিতে
প্রকৃতি কিংবা মন

থৈ পেয়েছে কে নারীতে ডুব দিয়ে
কাম সাঁতার প্রেম নয়

কখনো কখনো শরীর ময়লা হয় কামে
বিনিময় যখন চলে আসে প্রেমে

কেও কেও দুপুরেও রাত দেখে
যখন ভালোবাসায় অন্ধকার দেখে
অন্ধ ভালোবাসা সবুজ দেখেছে কবে?

যেভাবে মন খুঁড়ছিস
এই রাত হলো বলে,
জোনাক কি আর সকাল আনতে পারে?





শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০১৬

ছেঁড়া ঘুড়ি লাল



ছেঁড়া ঘুড়ি লাল
- যাযাবর জীবন

একদিন আমার চোখ দেখেছিল নীলে নীলাম্বরী
আমার স্বপ্নের আকাশে এক নীল পরী
তুই আমার নীলিমায় বিলীন এক কাব্য কথা
আমার ছেঁড়া নীল খাতার এক আনন্দের কবিতা,
একদিন মনের সাগরে তুই ডুব দিতি
আজ নীল কেবলই এক টুকরো স্মৃতি;
আজ তোর লালে আকাশ লাল হয়ে যায়
আমার নীল কালো হয় মেঘের ভেলায়
আজ আমার হাতে শূন্য লাটাই নীল
তুই ছিঁড়ে যাওয়া এক লাল ঘুড়ি
আমার নীল বেদনার নীলে মিশে যায়
নতুন প্রেমে তোর মনাকাশে ওড়াউড়ি।


স্মৃতির ভগ্নাংশ



স্মৃতির ভগ্নাংশ
- যাযাবর জীবন

টিনের চালে আছড়ে পড়ছে আষাঢ়
মনের চালে তুই
ওকুলে ভাঙ্গছে নদী
একুলে আমি,
সেদিন ছিলাম তুই আর আমি দুজন
আজ শ্যাওলা ধরেছে, স্যাঁতস্যাঁতে নোনা মন;

সময়ের চাকায় সময় গড়িয়েছে অনেক
লক্ষ কোটি মুহূর্ত পাড় হয়ে গেছে মুহূর্তে
এখন শুধু দেহটাই আছে দেহের অবয়বে
মন কোথাও নাই,
তুই তাঁরা হয়েছিস তাঁরার দেশে
আমি মন-জঙ্গলে তোকে খুঁজে বেড়াই;

দূরে কোথাও বজ্রপাতের শব্দ
ভাঙছে হৃদয় স্মৃতির ভগ্নাংশে।



শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬



স্বপ্ন, চাঁদ ও চাঁদনি
- যাযাবর জীবন

যখন ভাবনার ঘরে তুই
তখন বৃষ্টি মনের ঘরে
যখন বৃষ্টিতে ভিজি মনে মনে
তখন তুই পাশে হাত ধরে,
যখন পাশে তুই
তখন সূর্যটা মনের আকাশে
আমি রোদে ভিজি তোর সাথে
বাতাসে প্রেমের গন্ধ
ঠোঁটে ঠোঁটে
হৃদয়ে হৃদয়ে,
এভাবেই পথচলা হেঁটে হেঁটে বহুদূর পানে
মনে মনে তোকে ভেবে
ভাবনার ঘরে স্বপ্ন বুনে;

স্বপ্নে তোর সাথে পথচলায় কে মানা করবে আমায়?
তোর মত করে,
ভাবনায় তোকে ভালোবাসায় কে মানা করবে আমায়?
তোর মত করে।

স্বপ্ন দেখতে দেখতে হয়তো কোন একদিন চাঁদনি দেখব
দুপুর সূর্যে
যেদিন সত্যিই তুই এসে দাঁড়াবি চোখের সামনে,

তুই কি এখনো আগের মতই আছিস?
না বুড়িয়ে গিয়েছিস আমার মত
আমায় ভেবে ভেবে;
কি যায় আসে চাঁদের কলঙ্কে?