ভাদ্রের দুপুর
- যাযাবর জীবন
ভাদ্রের তপ্ত দুপুর,
লাঞ্চ টাইমে অফিস ছুটি নিয়েছে দীপাহ্নিতা;
অর্ক'কে নিয়ে আজ বাইরে কোথাও লাঞ্চ করবে
কাল রাতে দুজনার তুমুল ঝগড়া হয়েছে
ইদানীং প্রায়ই হচ্ছে,
অনেকক্ষণ ধরে অর্ক'র মোবাইল বন্ধ
অফিসে ফোন করে দেখে সেখানেও সে নেই,
মন খারাপ করে রিক্সা নিয়ে বাসায় রওয়ানা দিল
পথে ফুলের দোকান খুঁজে খুঁজে এক তোড়া সাদা গোলাপ কিনলো,
সাদা গোলাপ অর্কর খুব পছন্দের
আজ তাদের বিয়ের পাঁচ বছর পূর্তি
অর্ক - তার স্বামী;
দুপুর রোদে ঘুরে ঘুরে ঘাম-ক্লান্ত দীপাহ্নিতা
বাইরে থেকে চাবি দিয়ে দরজা খুলে বাসায় ঢুকে
রান্না ঘর ড্রইং রুমে কোথায় কল্পনা'কে খুঁজে না পেয়ে
শোবার ঘরের ভেজানো দরজা ধাক্কা দিয়েই দীপাহ্নিতা জমে যায়,
অর্ক কল্পনা'কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে
পরনে কাপড় নেই কারও
কল্পনা - বাসার ষোড়শী কাজের মেয়ে;
দীপাহ্নিতা ফুলের তোড়া হাতে চুপিসারে ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসে
আকাশে রৌদ্দুর যেন আরও তেঁতে উঠেছে
ফুলের তোড়া হাতে উদ্ভ্রান্তের মত রাস্তায় হাঁটতে থাকে দীপাহ্নিতা
জানে না কোথায় গন্তব্য তার,
সাত বছর প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল অর্ক আর দীপাহ্নিতা'র;
ভাদ্রের দুপুরে খুব গরম নামে
কুকুরগুলো বড্ড খেপে থাকে, ভাদ্রে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন