অন্ধকারের রসিক খদ্দের
- যাযাবর জীবন
পসরা বসে রাতের বাজারে
অন্ধকার গায়ে মেখে
আঁচল ফেলে দোকানির ভ্রুকুটি আমন্ত্রণ
খদ্দেররা ভিড় জমিয়েছে হাটে;
দোকানে দোকানে থরে থরে মাংস সাজানো
কষাই বিহীন বাজারে
বিক্রি হয় না মাংস এখানে কখনই কেজি দরে
পুরো দোকানটাই কিনে নিতে হয় খদ্দেরকে একবারে;
বিক্রি কথাটা এখানে আসলে অচলই বলা চলে
যদিও কেনাবেচা টাকার বিনিময়ে
লিজ কথাটাই এখানে বরং খাটে
নারী প্রতি ঘণ্টা দরে, কিংবা পুরো রাতের পরে;
খদ্দেররা বড়ই রসিক
মাংসাশী তো বটেই
বুক ফুলিয়ে কেও আসে হাটে
কেও চাদরে মুখ ঢেকে;
কেও আসে ট্যাঁকের মুরোদ দেখাতে
কেও লাঠি মাংস গর্জে
এখানে যুদ্ধ হয় মাংসে মাংসে
দোকান ভিজে যায় বীর্যে;
গোসল সেরে খদ্দের আবার ফুলবাবু
দোকানি পটের বিবি, লিজ ফুরোলেই;
আমরা সবাই আলোকিত মানুষ
অন্ধকার ধুয়ে, সকাল হলেই।
ভাগ্যিস অন্ধকারের হাট আছে অন্ধকার মেটাতে
হানা দিলে মনে অন্ধকার
নইলে হয়তো রসিক খদ্দেররা হানা দিত বাড়ি বাড়ি
যেখানে সেখানে যত্র তত্র দেখলেই সোমত্ত নারী;
খদ্দের কি অপরিচিত কেও?
কে জানে?
খদ্দের হতেও তো পারি আমি নিজেই, আপনি কিংবা সে
কে জানে?
ভেতরের আয়নায় দেখুন না একবার ভালো করে চেয়ে
নাহ্! কেও তাকাতে চায় না আয়নার দিকে ভয়ে
যদি অন্ধকারের চেহারা ভেসে ওঠে!
যদি বিবেক জেগে ওঠে?
তার থেকে ঢের ভালো অন্ধকার গায়ে জড়ানো
মন রাত্রি হলে পরে
রসের খদ্দের হওয়া ঢের ভালো
বাসনা মেটাবার তরে;
কি দরকার বিবেকের জানালা ভাঙার?
কি দরকার মানুষ হওয়ার?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন