শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভাতের প্রকারভেদ

 ভাতের প্রকারভেদ 

 - মোঃ আহসানুল হক 


মানুষ তো মানুষই, তবুও কত রকমই তার শ্রেণিভেদ

গরিব, মধ্যবিত্ত আর ধনী 

 

আমি টাকার মাপকাঠিতে শ্রেণিভেদের কথা বলছি,

গরিব তো গরিবই, 

মধ্যবিত্ত আবার তিন প্রকার

 

নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্ত 

উচ্চবিত্ত কিংবা ধনী, এরাও  আবার দুই প্রকার

 

ধনী আর অতি ধনী;  

কি অদ্ভুত! তাই না?


সকল শ্রেণিভেদের মানুষের মধ্যে একটা ব্যাপার কিন্তু কমন

 

আর তা হচ্ছে ক্ষুধা

সকল শ্রেণীর মানুষেরই খেতে হয়

 

যার ভাতের ক্ষুধা নাই তাকে কি মানুষ বলা যায়?


গরিবদের ভাত হলেই চলে

 

হোক সে পানিভাত কিংবা লবণ ছিটানো গরম ভাত

সাথে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ হলে, তাই ডলে 

কোনদিন হয়তো একটা ভর্তা কিংবা একটা নিরামিষ  

সেদিন খাওয়াটা হয়ে যায় বেশি, 

 

মাসে একবার ডিমের সালুন

, ছয় মাস একবার তেলাপিয়া মাছ 

বছরে একদিন মাংস

, এরা এতেই খুশি;


নিম্ন মধ্যবিত্তদের ভাতের সাথে একটা ভর্তা, একটা নিরামিষ  

সপ্তাহান্তে তেলাপিয়া মাছ কিংবা ব্রয়লার মুরগি 


মাসে একবার হয় গরু নয়তো খাসি, 

সাধারণ মধ্যবিত্তদের ভর্তা আর নিরামিষের সাথে 

অতিরিক্ত একটা তরকারিতে তেলাপিয়া মাছ 

কিংবা ব্রয়লার মুরগিতে আলু 

পাক্ষিক অথবা মাসিক গরু কিংবা খাসির সাথে পোলাও;


 

উচ্চ মধ্যবিত্তের খাবার মোটামুটি সাধারণ মধ্যবিত্তের মতোই 

হয়তো গরু খাসির সাপ্লাই সাপ্তাহিক

  

মুরগির ক্ষেত্রে হয় তো ব্রয়লারের জায়গায় দেশি 

আর বেলায় বেলায় তরকারির সংখ্যাটা হয়তো আরেকটু বেশি;


উচ্চবিত্তের টেবিলে ভাতের কয়েক প্রকারভেদ

 

কেউ সাদা ভাত, কেউ ফ্রাইড রাইস কিংবা পোলাও

সাদা ভাতও কারো বা ঢেঁকি ছাটা লাল চালের কারো বা পোলাও চালের 


সাথে চার পাঁচ ছয় প্রকার তরকারি

 আর মাছ মাংসের বিভিন্ন প্রকারভেদ, বাসায় দৈনন্দিন

 

সাধারণ উচ্চবিত্তের সপ্তাহান্তে ঘরের খাবার মুখে রুচে না

শহরের কোন এক

 নামীদামী রেস্টুরেন্ট

কিংবা মাসে একবার ফাইভ স্টার,

অতি ধনীদের বাসাতেই ফাইভ স্টার বাবুর্চি 

তবুও বেশিরভাগ দিনই তাদের বাইরে লাঞ্চের পার্টি 

ডিনারের পার্টিতে সাথে রঙিন পানি

ওদের কথা নাই বা বলি 

অত উঁচু ঘরের খবর আমিই কতটুকু জানি!  


সকল শ্রেণীর মানুষই ক্ষুধা মেটায় ভাতে,

 

গরীবের পেট তিন-বেলা ভাত চায় পাতে 

মধ্যবিত্তের সকালে রুটি আর ভালো হয় দুবেলা সাদা ভাত হলে 

 

ধনীদের ব্রেকফাস্ট কাটে ঘুমিয়ে, দুপুর আর রাতে বিভিন্ন পার্টি চলে 

টেবিল ভরা খাবার থাকলেও অতি ধনীদের পেটে শুধুমাত্র জাউভাত চলে 

সাথে বড় একটা দীর্ঘশ্বাস যদিও

 তাদের খাবারের নেই কোন অভাব 

তবু খেতে হয় মেপে,

 অতিরিক্ত টাকার চাপ সহ্য হয় না পেটে;

 

কি আজব! তাই না?


#কবিতা 


ভাতের প্রকারভেদ  

 - মোঃ আহসানুল হক 


১৫ মে, ২০২৩ 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন