শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩

মাহবুব ভাই এর চুলকানি - #রম্য

 মাহবুব ভাই এর চুলকানি 

 - আহসানুল হক 


Mahboobul এর সাথে আমার যখন প্রথম পরিচয় হয় তখন সে.......................


আচ্ছা সে কথা এখন বলবো না এটা পরে বলব............


ক্লাব 85 তে এসে আমার হতভম্ব অবস্থা। সবাই দেখি আমার উপর তেড়ে আসে, বিশেষ করে ক্লাবের মেয়েগুলি। এর মধ্যে Shirin Akhter, Sania Moon, Humaira Naz, Syeda Rozy, Rojy Rahman অন্যতম। এরা প্রতিটা লেখায় ঝাড়ুপেটা করতে এলেই এদের সাথে গলা মেলায় ক্লাবের বাকি সব মেয়েরা। আর এদের সাথে প্রত্যেক দিন গলা ফাটিয়ে থুক্কু ক্লাব ফাটিয়ে আমার ঝগড়া ছিলো নিত্যদিনের কাজ।


এদের সাথে ঝগড়া হতো কি নিয়ে জানো?


আমি ছোটখাটো কিছু জোকস লিখতাম, কিছু রম্য লিখতাম, আর রম্য কিংবা জোকসে নারীঘটিত কিছু বিষয় তো এসে যায়ই! তাই না? পাঠক কিংবা বোদ্ধারা এগুলো ঠিক বুঝে, কিন্তু আমার ক্লাবের বালিকাগুলো এগুলো নিতে পারত না। ক্লাব ফাটিয়ে ঝগড়ায় সুবিধে করতে না পেরে বিচার দিতে ক্লাবের এডমিন মডারেটর মহোদয়গণকে।


বালিকাগণের কাছ থেকে বিচার? শালা একটা অসভ্য ওরে নেই কোন আচার - এই ছিলো আমাদের মডারেটার।


মাহবুব ভাই আমাকে মাঝে মধ্যেই ফোন করে ওদের সাথে যাতে ঝগড়ায় লিপ্ত না হই তা বোঝাতো। আর ওদিকে আমাদের রাগী মডারেটরদ্বয় Borhan Mahmud আর Tanveer Rahman সাহেব প্রতি দুই দিন অন্তর অন্তর ক্লাবে আমাকে ব্লক করত। প্রথম প্রথম ২ মাসে ক্লাবের পেইজ থেকে অন্তত সাত থেকে দশ বার ব্লক খেয়েছি এই মহান মডারেটরদ্বয়ের সদয় বিবেচনায়। তারপর মাহবুব ভাইকে ফোন করে ইনিয়ে বিনিয়ে কান্নাকাটি করে ব্লক ছোটানো।

তাতে লাভ কি? আবার কোন এক বালিকা রাগী মডারেটরদ্বয়ের কাছে নালিশ করেন, ওনারা আমাকে ব্লক করেন; আর আমার মাহবুব ভাইকে ফোন করে কান্নাকাটি করা। এভাবেই চলছিলো।


কোন একদিন আমার নাগ'লি(ফণা তোলা) আপা থুক্কু নাজলি আপার সাথে ধুন্ধুমার লেগে গেলো, কেন? - ওনাকে আমি বাঁশকন্যা উপাধি দিয়েছিলাম তাই।

ব্যাস! আর যায় কই? উনি যে আমাদের অ্যাডমিন মাহবুব সাহেবের বাল্য সখি তা কি আর আমি জানতাম? এবার মাহবুব ভাই নিজেই খেপলেন আমার ওপর। বুঝলেন এভাবে ক্লাব থেকে ব্লক করে আর হবে না। ওনারা এডমিন আর মডারেটর প্যানেল মিলে বিশাল মিটিং বসালেন, ঐদিকে নাগলি আপা গং এ ক্লাবময় মিছিল চলছিলো - জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো; গামছার গদিতে আগুন দেও একসাথে।


তা মাহবুব সাহেব শেষ পর্যন্ত তার মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করলেই চলবে না, সমবেত গণপিটুনিও দিতে হবে। এই উপলক্ষে তারা বিশাল আয়োজন করলেন। ক্লাবের ষণ্ডামার্কা মডারেটর তানভীরকে দায়িত্ব দিলেন ক্লাবের ক্যাডার মডারেটর Anselm L Martin সাহেবকে তার বস্রশস্র সহ হাজির করতে, বোরহান সাহেব ক্লাব অঙ্গনে তার মিলিটারি টাইফেল সহ উপস্থিত হয়ে বসে আছেন। আর ওদিক থেকে বিশাল বপু থুক্কু পেটু থুক্কু কি জানি নাম? ও Ruma Bosu আপা। উনি ক্লাবের খরচায় প্লেন চার্টার করে ঢাকা চলে আসলেন সাথে করে নাগের জন্য ইয়া বড় এক আজদাহা ঝাড়ু নিয়ে। ওনার বিশাল দেহ নিয়ে আমাকে মাটিত ফেলে চেপে ধরবেন আর নাগ বিবি নাকি আমাকে ঝাড়ুপেটা করবে। বাকিরা যে যার অস্র হাতে আমার বাসায় হামলা দিবেন।

লোকমুখে (কতিপয় সুবোধ বালিকাদের কাছ থেকে) এই হামলার কথা শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিছুটা ভয় যে কাজ করছিলো না তা না কিন্তু! আচ্ছা তোমরাই বলো যদি রুমা আপা তার এত বড় (হস্তিনী বললে মনে হয় আবার আমার ওপর চড়াও হতে পারে তাই উহ্য রাখলাম) দেহ নিয়ে আমার ওপর পড়ে তাইলে কি আর আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে? আরে যাবে তবে মাটি খুড়ে আমার অর্ধেক শরীর বের করতে হবে। তারপর নাগবিবি যদি একহাতে আজদাহা ঝাড়ু আরেক হাতে মহেশখালীর বাঁশ নিয়ে আমার কানের ওপর ঠাস ঠাস করে বাড়ি দেয়! তাইলে আমার কি হবে? নাহ! ওগুলো ভাবতেই আমি দৌড়ে গিয়ে কমোডে বসলাম। এই একটা জায়গায় বসে আমি চিন্তা করে আরাম পাই (অন্য সময় বৌ ঝাড়ুপেটা করে)।


অনেকক্ষণ কমোডে বসে চিন্তা করে আমি চিৎকার করে বললাম - আমি কি ডরাই সখি মাহবুব বাহিনীকে?


বলে মনে মনে একটা প্ল্যান করলাম।


যেদিন শুনলাম তারা বাসায় আসবে সেদিন ছলচাতুরী করে বৌকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম (এ মহিলা বাসায় থাকলেই ঝামেলা শুরু করে দিবে) আর তাদের আপ্যায়নের জন্য বিশাল খাওয়ার আয়োজন করলাম। শুনেছি মাহবুব কালাভুনা পছন্দ তাই চিটাগাং বুল থেকে তাদের কালাভুনার পাতিল তুলে নিয়ে আসলাম। রুমা আপার জন্য আস্ত খাসির বার বি কিউ, বোরহান তানভীর আর মারটিন ভাইয়ার জন্য কোরাল বার বি কিউ এর সাথে রুহ আফজার ও কোকের মিশ্রণ (শুনেছি এটা নাকি তাদের অনেক প্রিয় ড্রিংকস) আর নাগ আপুর জন্য বাঁশের কোড়লের সুপ আর বাঁশ পুড়িয়ে বাঁশের ভেতর রান্না করা কাচ্চি। তা ওনারা বাসায় আগমন করতেই ওনাদের সবাইকে বেশী করে পুদিনা আর লেবু দিয়ে মোহিতোর গ্লাসে আপ্যায়ন করলাম, করে মাত্র কাউকে কোনও কথা বলতে না দিয়ে সরাসরি ডাইনিং টেবিলে নিয়ে চলে আসলাম। ডাইনিং টেবিলে খাবারের সমারোহ দেখে প্রথমেই রুমা আপা ঝাঁপিয়ে পড়লো তার আস্ত খাসির রোস্টের ওপর। মাহবুব যদিও করুণ চোখে চেয়ে ছিলো খাসির দিকে তবুও রুমা আপার এতটুকু দয়া হয় নি, পুরো রোস্ট সাবাড় করে উনি আমার দিকে প্রেম প্রেম দৃষ্টিতে তাকালেন; আমি ভালো করে দেখলাম ঐ চোখে কোথাও ক্রোধের লেশমাত্র নেই। এদিকে মাহবুব ভাই তার কালাভুনার বড় ডেকচি দেখে চেয়ার টেনে নিয়ে ডেকচিতেই বসে গেলো, কনুই পর্যন্ত সাদা পাঞ্জাবীর ঝোলে তার হাত মাখামাখি হয়ে গেলো আর তার বিশাল বিশাল দুই চোখ-দ্বয় কি এক অজানা অনুভবের ঢুলু আবেগে ছলোছলো হয়ে উঠলো - ভালো করে ঐ চোখে তাকিয়ে দেখলাম ওখানেও কোন রাগ গোস্যা নেই। বাকি মডারেটর ট্রয় গোলাপির রঙের রুহআফজার সাথে কোক মিশিয়ে রুহ ঠাণ্ডা করতে করতে মনোযোগ দিলেন দশ কেজি কোরালের ওপর। আবেশে ওদের চোখ ঢুলুঢুলু হয়ে উঠলো আর অতি অনুভূতিপ্রবণ হয়ে মারটিন সাহেব বলতে লাগলেন - লাভ ইয়ু, লাভ ইয়ু বতস! ততক্ষণে পুরো চার বোতল রুহ আফজার শরবত খেয়ে বাকি দুইজনও ঢুলতে ঢুলতে আমার বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো আর বলতে লাগলো - লাভু গামছা, লাভু। ওদের চোখ দেখার উপায় নেই; ওরা ততক্ষণে অতিরিক্ত আবেগে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওদিকে তাকিয়ে দেখি আমাদের নাগ আপা আমার পোড়ানো বাঁশের কাচ্চির বাঁশ আমাকে পেটানোর জন্য তার নিয়ে আসা বাঁশ দিয়ে ঠাস ঠাস করে ফাটিয়ে দুই হাত দিয়ে কাচ্চি মুখে ঠাসছে, ততক্ষণে তার রাগ বাঁশের কাচ্চির আবেশে পানি হয়ে চোখ বেয়ে বেয়ে পড়ছে - নাহ! ওখানেও রাগ দুঃখ অভিমানের চিহ্নও দেখলাম না। নিশ্চিন্ত হলাম, যাক বাবা এ যাত্রা বেশ বেঁচে গেছি।


তারপর সবাই মিলে (রুহ আফজা গ্রুপ বাদে) ডেজারটের প্লেট হাতে গল্পের আসরে মেতে গেলাম।


মাহবুবের সাথে অনেকবার ফোনে কথা হলেও এটা মাহবুবের সাথে সামনাসামনি আমার দ্বিতীয় সাক্ষাৎকার; তাই ওকে দেখে আমি খুব আশ্চর্য হচ্ছিলাম। গল্পের ছলে কথা বলতে বলতে খেয়াল করলাম সে একটু পর পর একবার ডান হাত নিয়ে পেটের খানিকটা সামনে বাতাসের মধ্যে কেমন জানি তবলা বাজানোর ভান করছে, আবার কখনো চুলকানোর ভান করছে। দু মিনিট যেতে না যেতেই আবার দেখলাম ডান হাতে চা নিয়ে বা হাত দিয়ে সে পেটের খানিকটা সামনে বাতাসে ক্রমাহ্নয়ে তবলা বাজানোর ও চুলকানোর কাজ করছে।


আমি একবার ভাবলাম এটা মাহবুবের মুদ্রা দোষ, রুমা আর নাগ কিছু বলছে না দেখে ভাবলাম ওরা হয়তো অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমার চোখে খুব কটু লাগছিল ব্যাপারটা, তাই মাহবুবকে সিগারেট খাওয়ানোর অজুহাতে বারান্দায় নিয়ে এসে একাকি জিজ্ঞেস করলাম - দোস্ত এর ঘটনাটা কি বলতো?

মাহবুব আশ্চর্য হয়ে বলল কোন ঘটনা?


আমি বললাম এই যে তুই একটু পরপর পেটের খানিকটা সামনে বাতাসে ডান হাত নিয়ে একবার তবলা বাজাচ্ছিস আবার চুলকাচ্ছিস আবার খানিকটা পরে বাম হাতে বাতাসে তবলা বাজাচ্ছিস আর পেট চুলকানোর ভাব করছিস, এর মরতবা'টা কি দোস্ত? এটা কি তোর মুদ্রাদোষ? অচেনা মানুষের সামনে এমন করলে ওরা কিন্তু তোকে নিয়ে হাসবে।


মাহবুব কথা বলতে বলতেই তার পেটের সামনের বাতাস থেকে ডান হাত নিয়ে মাথার টাকটা চুলকাতে চুলকাতে বলল, দোস্ত আর বলিস না! তোর সাথে পাঁচ বছর আগে যখন প্রথম দেখা হয় তখন আমার সাইজ কি ছিল তোর মনে আছে?


আমি বললাম হ্যাঁ মনে থাকবে না কেন? পেট মোটা মহিষের কথা কার না মনে থাকে? তোর পেট তো তখন ছেলে মহিষ বাদ দিয়ে নয় মাসের পোয়াতি জমজ বাচ্চা ওয়ালা মহিষীর পেটের সাইজ ছিল।

বলে হাসতে লাগলাম।


দেখলাম মাহবুবের মুখটা কালো হয়ে গেল।


আমি থতমত খেয়ে বললাম, আরে দোস্ত পুরান কথা মনে করে মনখারাপ করিস কেন? তুই তো এখন অনেক যুবক হয়ে উঠেছিস; তোকে দেখলে অনেক হ্যান্ডসাম লাগে, মেয়েদের তো লাইন লেগে যাবে এবার। আমি জিজ্ঞেস করলাম - তুই এত বড় পেটটা কমালি কিভাবে?


মাহবুব বললো সেই দুঃখের কথা আর বলিস না রে দোস্ত! এই যে তোর বাসায় আজকে গাপুসগুপুস হালুমহুলুম করে কবজি ডুবিয়ে এক হাড়ি গরুর মাংস খেলাম! কতদিন পরে খেয়েছি তোর কোন ধারনা আছে?


আমি বললাম কেন বাসায় খেতে পাস না?


সে কাঁদো কাঁদো চোখে ছল ছল পানি নিয়ে বলল - তোর ভাবী রেশন করে দিয়েছে রে! সারাদিনে এক বেলা খেতে দেয় তাও শুধুমাত্র লবণ ছাড়া সিদ্ধ সবজি। সপ্তাহে একদিন দুটো আটার রুটি। এভাবেই গত দুই বছরে আমার পোয়াতি মেয়ে মানুষের পেট কমে এখন পোয়াতি পুরুষের সাইজ হয়েছে। আর দেখ! আগে আঙ্গুল দিয়ে কি সুন্দর বড় পেটটার মধ্যে তবলা বাজাতাম আর একটু পর পর শার্ট তুলে তুলে পেট চুল কাতাম। এখন পেট কমে গেলো সেই অভ্যাসটা আজও ঠিক রয়ে গেছে।

তুইই বল, অভ্যাস কি যায় সহজে?


আমি বললাম, না রে কয়লার ময়লা ধুলেও যায় না। তবে ভাবিস না, তোর পেট চলে গেছে টাকে। আগে পেট বড় ছিল মাথায় ছিল চুল, তাই পেটে তবলা বাজাতি কিংবা পেট চুলকাতি। এখন পেট কমে যাওয়ার সাথে সাথে তোর চুলও কমে গিয়ে মাথা ভরা আমার মত বিশাল টাক। তুই কি জানিস? আমিও তোর মত এখন একটু পর পর মাথায় তবলা বাজাই টাক চুলকাই?


সে মহিষের মত ইয়া বড় বড় চোখ করে কিছুক্ষণ চিন্তা করে বলল, আরে তাইতো?

তারপরই ডান হাতটা মাথার ওপর নিয়ে টাকের ওপর তবলা বাজানো শুরু করল আর বা হাত নিয়ে টাক চুলকাতে শুরু করলো।


কিছুক্ষণ তবলা বাজিয়ে কিছুক্ষণ চুল্কিয়ে আরামে তার চোখ ট্যাঁরা হয়ে আসলো (তোরা কি জানিস! বেশি আরামে কিছু মানুষের চোখ ট্যাঁরা হয়ে যায়?) আর মুখ হাঁ হয়ে জিহ্ব আধাহাত বের হয়ে গেলো (আমি সেই ফাঁকে টুক করে তার একটা ছবি তুলে নিলাম (আমি যে সত্যি কথা বলছি তার প্রমাণ স্বরূপ))।


তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল আহা! এই বুদ্ধিটা আমাকে যদি আগে কেউ দিত! লাভু দোস্ত, লাভু, লাভু, তোরে অনেক অনেক লাভু।


আমি চান্স বুইজ্ঝা মাহবুবরে কইলাম, তোরে যে এই এত সুন্দর একটা বুদ্ধি দিলাম! এর প্রতিদান কি দিবি?


সে ঘরে আইসা বিছানায় ঘুমন্ত ত্রিশঙ্কুর পাশ থাইক্কা আমার বউয়ের শলার ঝাড়ু'টা তুইল্লা আমার হাতে দিয়া কইলো - আজ থাইক্কা দোস্ত তুই ক্লাবের ঝাড়ুদার।

(বিঃদ্রঃ তরেও লাভু মাহবুব, তরে বালুবাসি বইল্লাই তরে বালুঘষি)


এরা বেবাক্তে মিল্লা আইছিলো আমার পিঠে ঝাড়ু ভাংতে আর দিলো আমার হাতে ঝাড়ু ধরাইয়া ক্লাবের ঝাড়ুদার বানাইয়া।

তারপর থাইক্কা আমি রেগুলার বেসিসে কিলাব ঝাড়ু দেই। ।


বিঃ দ্রঃ এই লেখাটা অনেকক্ষণ কমোডে বইসা থাকার চিন্তাহ্নিত ফসল, আপনাদের পড়া হইয়া গেলে এইটারে কমোডে ফালাইয়া ফ্লাস কইরা দিয়েন।


#রম্য


মাহবুব ভাই এর চুলকানি

- আহসানুল হক


২২ এপ্রিল, ২০২২




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন