শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্মৃতির কথকতা

 মানুষ শুধু কুঁড়িয়েই যায়

সেই জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি,  

তবুও শেষমেশ আসলে হাতে থাকে না কিছুই 

থাকে শুধু স্মৃতির পাতায় গেঁথে যাওয়া স্মৃতিগুলো; 


থাকে কিছু মনমরা ঢলা রোদ কিছু তেজস্বী ঝলসানো দুপুর  

থাকে চাঁদ থাকে জ্যোৎস্না থাকে অমাবস্যা, 

থাকে বছরের তিনশত পঁয়ষট্টি দিনের মাঝে হাতেগোনা অল্প কিছু দিন

যখন তুই হেসেছিলি বালিকা, যখন তুই কেঁদেছিলি

যখন তুই ভালবেসেছিলি, যখন ছেড়ে গিয়েছিলি

যখন মনে প্রেম এসেছিলো আর জীবনটা তুইময় ছিলো,


থাকে কুঁড়িয়ে তোলা হাজার সম্পর্কের ভীরে অল্প কিছু সম্পর্ক

যারা ভালবেসেছিল, যারা দুঃখ দিয়েছিলো

যারা কিছু পাওয়ার আসায় কাছে এসেছিলো 

যারা স্বার্থের লোভে ছেড়ে গিয়েছিলো

যাদের জন্য হেসেছিলেম কখনো 

আর যাদের জন্য কাঁদতে হচ্ছে আজও,


ক্ষণস্থায়ী জীবনে কিছু দীর্ঘস্থায়ী অতীত  

স্মৃতির কোষে কোষে নেশার বিষের মত 

শরীরের ভেতর বাসা বাঁধে 

রোধ পোহায়

নিউরন কোষ কুঁড়ে কুঁড়ে খায়

বেড়ে উঠতে উঠতে একসময় যখন থেমে যায়

তারপর মন হামানদিস্তায় পিষে যায় স্মৃতিগুলো 

পিষে যায় মানুষগুলো, সম্পর্কগুলো

ভালোবাসা, হাসি-কান্না আর দুঃখগুলো 

তারপর বাতাসে উড়িয়ে দেয় সকল মৃতদেহ

মৃত মানুষ

মৃত সম্পর্কগুলো

মৃত অনুভূতির সকল অনুভব

তারপর সৎকার হয়ে যায় সকল দীর্ঘশ্বাসের;


ঐ তো ইতস্তত পড়ে আছি আমি 

স্মৃতিগুলো সব মেরে ফেলে,  


তোমরা শব বলে আমায় নিয়ে যাচ্ছ 

দেহটা সৎকারে। 



#হিবিজিবি_ভাবনা 

 

স্মৃতির কথকতা 

 - মোঃ আহসানুল হক 


১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ 





সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

তারার হাসি

 ঐ যে শ্যাওলা পুকুরটায় গাঢ় সবুজ জল! 

আঁধার নামতেই জলে কালো  

একমাত্র সূর্যই সাহস করে  

টুপ করে ডুবে যেতে, সন্ধ্যা নামতেই......... 

প্রেমে ডুবতে না পারার অক্ষমতা 

শুধুই প্রেমিকের...... 


কত রূপেই না দেখি চাঁদ'কে! 

কত শোভা, কত নাম আর প্রেমিকের কবিতায় আঁকা 

নিজস্ব আলো কোথায় তার? 

ধার করা আলোতে পথ চলতে চায় প্রেমিক 

প্রেমে অমাবস্যা এলে দোষ দেবে কাকে? 


সন্ধ্যা পার হতেই রাতের সাথে অন্ধকারের ফিসফাস

প্রেমের কবিতা বোনা হয় ব্যর্থতার জালে 

তারপর ঝপ করে কান্নার জাল ফেলতেই 

একটি দুটি রূপালী ইলিশের চকচক  

চাঁদের ধার করা সূর্যের রাতে;  


ভালোবাসার খুব গভীরে কোথাও কি আলো আছে?  

প্রেমের নিকষ কালো রাতে তারা'রা হাসে..................... 

প্রেমিকের কলম ব্যর্থতা লিখে 

রাত-বাদুরের পিঠে। 


#হিবিজিবি_এলোমেলো 


তারার হাসি 

 - মোঃ আহসানুল হক 


০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ 





বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সংগ্রহ

 কতরকম শখই না মানুষের আছে  

এর মাঝে সংগ্রহে বিভিন্ন রকম জিনিস রাখা একটি শখ

সখ করে নানা জিনিষ  সংগ্রহ করে তারপর শোকেসে সাজিয়ে রাখে থরে থরে, 

কেউ মুদ্রা সংগ্রহে রাখে কেউ রাখে পুরনো স্ট্যাম্প

কেউ পুরনো গানের রেকর্ড 

কারও বা বইয়ের সংগ্রহ 

আমি ছোটবেলা সংগ্রহে রাখতাম লাল নীল সবুজ হলুদ নানা রঙের মার্বেল

তারপর সংগ্রহ করা শুরু করলাম বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেট 

আরেকটু বড় হয়ে কৈশোরে এসে স্ট্যাম্প, তারপর বই

যৌবনে এসে সংগ্রহ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হতে থাকলো টুকরো টুকরো নানা দুঃখ বেদনায় 

বেশিরভাগ খুব কাছের নিজের মানুষের দেয়া,  

ওগুলো বেশিরভাগই স্বার্থসংশ্লিষ্ট  

তারপর থেকে ক্রমাগত কষ্ট আর বেদনার ইতিহাস

সাপের মত পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে স্মৃতিগুলো; 

আজকাল আর কিছুই জমাই না  

আয়নায় তাকালেই দেখি বয়সের ভারে ন্যুয়ে থাকা আমি 

আর পেছনে একরাশ লম্বা দুঃখ বেদনার দীর্ঘশ্বাস, 

কি নিদারুণ সংগ্রহই না আমার! 


#হিবিজিবি_দীর্ঘশ্বাস 


সংগ্রহ 

 -মোঃ আহসানুল হক 


০৫ ডিসেম্বর ২০২8

ঝগড়াচ্ছা - রম্য

 আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে, খুবই খারাপ অভ্যাস।  আমি ঝগড়া না করে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।  আমার মুখের ভেতরটা কেমন যেন চুলকায়, পোয়াতি মেয়েদের মত ক্রমাগত শরীর গুলায়।   

বাসায় থাকতে আমি সারাক্ষণ ঝগড়া করি, বউয়ের সাথে।  সেও কি ঝগড়া করে না? আরে করে বাবা! করে; এক হাতে তো আর তালি বাজে না! আমি যদি একশটা কথা শোনাই সে একটার তো জবাব দেয়! তাতেই আমি উৎসাহিত হয়ে পরবর্তী আরও দুইশটা বলার সুযোগ পাই। আমাদের কন্টিনিউয়াস ঝগড়া লেগেই থাকে।  

আমি যেমন আমার বউয়ের সাথে ঝগড়া করি!  ঠিক তেমনি আমার মেয়ে আমার সাথে ঝগড়া করে।  আমার মেয়ের ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা আমার বউয়ের মত।  সে দুইশ বললে আমি একটা বলি তারপর আরও চারশো শোনার জন্য একটু খোঁচা মারি। 

ব্যাস! আর যায় কোথায়! 


আমার আরেকটা খুবই খারাপ অভ্যাস আছে। আমার বেশিক্ষণ ভালো না বাসলেও চলে না, কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগে। আর ভালোবাসার পাত্রীও ঘুরেফিরে এই দুইজনই। তবে এক্ষেত্রে আমার বউয়ের থেকে মেয়ে খানিকটা এগিয়ে।  মেয়েকে ১০০, ২০০ বার ভালবাসলে সে আমাকে এক দুইবার প্রতিদান দেয়।  ওইটুকু আমার জন্য যথেষ্ট।  বউকে অবশ্য ১০০ বার ভালবাসলে সে এক হাজার বার প্রতিদান দেয়। তবুও যেন আমার মন ভরে না।  

আজ দুইদিন ধরে বাসায় এদের দুজনার একজনও নাই।  আমার মন খুবই খারাপ।  মুখের ভেতরটা চুলকাচ্ছে ঝগড়া করার জন্য মন চুলকাচ্ছে ওদের ভালোবাসার জন্য।  আমি ছাদে বসে রেলিং এ হেলান  দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি, আর চিন্তা করছি কখন থেকে আমার এই অসুখের সূচনা!


একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলাম - এই অসুখের সূচনা আমার খুব বাল্যকালে।  সূচনাটা অবশ্য প্রেম দিয়ে, অতঃপর প্রেমের অপ্রাপ্তিতে রাগ তার থেকে ঝগড়া।  সময় বাড়ার সাথে সাথে দুটোতেই আমি বেশ পটু হয়ে উঠেছিলাম। 

কবে থেকে প্রেমের সূচনা জানো? লেখাপড়ার ক্ষেত্রে তোমাদের আজকাল যেমন নার্সারি, প্লে গ্রুপ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি! আমাদের সময় ছিল ক্লাস বেবি ওয়ান টু থ্রি।  আমি মনে হয় ছোটবেলায় বয়সের তুলনায় একটু বেশিই পেকে গিয়েছিলাম, তাই বাবা-মা আমাকে বেবিতে ভর্তি না করিয়ে সরাসরি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করায়। ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়ে দেখি আমার বড় ভাইও সেখানে আর তার বন্ধু-বান্ধবরা ও সেখানে। ক্লাসে আমি বয়সের তুলনায় সবচেয়ে ছোট ছিলাম, এমনকি সাইজে আর হাইটেও। যেদিকেই তাকাই আমার মাথার ওপর বিঘৎ-খানেক কিংবা আধা-একহাত মাথা দেখতে পাই। সাইজে ছোট বলে ক্লাসের বাকিরা কেউ আমাকে পাত্তাই দিতো না।  


আমাদের ছিলো কো-এডুকেশন স্কুল। স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রথম দিনে আমার চোখ গেল সালুজার দিকে। আমার থেকে আধ হাত লম্বা, শ্যামলা মায়াবী চেহারার একটি মেয়ে।  তার ডাগর কালো চোখের দিকে তাকিয়ে যেন আমি কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ইঁচড়ে পাকা বয়সে। আচ্ছা তোমরাই বল পাঁচ বছর বয়সে কারো মনে কি প্রেম ভাব জাগতে পারে? কারো মনে পারে কিনা জানিনা আমার জেগেছিল। এখন ঐ বয়সে কেন প্রেম অনুভূতিটা এ তীক্ষ্ণ হয়ে মনে এসেছিলো তা বলতে পারব না।  প্রথম দর্শনেই প্রেম - বয়সে আমার থেকে এক বছর বড়, লম্বায় আমার থেকে আধ হাত বড় লাস্যময়ী একটা মেয়ের সাথে।  আমি তাকে কিছুই বলিনি,  তবে স্কুলটা হঠাৎ করেই যেন আমার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। সকাল হলেই স্কুলে যাওয়ার জন্য ছটফট করতাম,  আর স্কুলে গিয়ে সালুজা মেয়েদের যে বেঞ্চটায় বসতো তাই বসতো আমি ঠিক তার পাশেই ছেলেদের অংশে গিয়ে বসতাম। সপ্তাহ-খানেক এভাবেই চলেছিল।  


তারপর আমার মাথায় আকাশ ভাঙল - যেদিন স্কুলে প্রিন্সের আগমন ঘটলো।  প্রিন্স এ স্কুলেরই ছাত্র ক্লাস, বেবি থেকে ওরা বাকি ছাত্র-ছাত্রীরা একসাথেই পাস করে ওয়ানে উঠেছিলো, আমিই একমাত্র নতুন ছাত্র। আমি ভর্তি হওয়ার সময় প্রিন্স  কোথায় জানি বেড়াতে গিয়েছিল। প্রিন্সের চেহারা প্রিন্সের মতই সুন্দর।  আমার থেকে এক হাত লম্বা, ধবধবে ফর্সা নায়কের মত একটা ছেলে।  সে প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকেই ধাক্কা দিয়ে আমাকে আমার জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে বললো - কিরে পুঁচকি এখানে বসেছিস কেন?  আমি তার দিকে রাগত দৃষ্টিতে চাইতেই সে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল - ওহে বাচ্চা এটা আমার জায়গা। সালুজার দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে  বললো - আর ওই যে পরীর মত মেয়েটা দেখছিস না! ওটা আমার বউ।  

ওমা তার কথা শুনেই সুন্দরীর মুখে প্রথমবারের মতো প্রশ্রয়ের হাসি আর আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। তারপর পুরোটা স্কুল সময় তাদের দুজনের খুনসুটি, আর আমার বুকে রাগের কাটাকুটি।  আমি অনেক চিন্তা করে দেখলাম সেটাই বোধহয় আমার জীবনে প্রথম প্রেম আর সেটাই বোধ হয় আমার প্রথম রাগ করা। তো সেই রাগ থেকে যেই প্রিন্সের সাথে ঝগড়া করতে গিয়েছি সে মাছি তাড়াবার মত করে ধারাম করে আমার মাথায় গাট্টা মারলো। আমি ছিটকে পড়ে গিয়ে রাগত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। রাগ মিটালাম বাসায় এসে মায়ের সাথে অযথাই ঝগড়ায় মেতে। সেই থেকে শুরু।   

আজ প্রিন্সই বা কোথায় সালুজাই বা কোথায়?  নাহ! পরবর্তীতে তাদের প্রেম আর টিকে নি। সালুজার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল মেট্রিক পরীক্ষার পরপরই।  প্রিন্স পরবর্তীতে আরও চারটা পাঁচটা লদগালদগি প্রেম করে শুনেছি শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছিল কার সাথে জানি। এদের কারোর সাথেই আজ আমার যোগাযোগ নেই। প্রিন্স তুই কি আছিস আমার ফেবু লিস্টে? সালুজা? ওরা থাকলে এই লেখা পড়ে হাসবে,  হয়তো আমাকে গালাগালি করবে। বিশ্বাস কর আমি কিন্তু তোদের পুরো নাম বলি নি, নিক নামে কয়জন কাকে চেনে? 


সবাই যার যার প্রেম নিয়ে ভালো থাকুক।  কিন্তু আমার এখন ঝগড়া করতে ইচ্ছা করছে। আচ্ছা ঝগড়া করার ইচ্ছা কি ঝগড়াচ্ছা হয় না? নাকি ঝগড়া + ইচ্ছা = ঝগড়িচ্ছা? যাই হোক আমি না হয় ভুল নামই দিলাম ঝগড়াচ্ছা! আচ্ছা! এর ব্যাসবাক্য কি? এটা কোন সমাসই বা কি? আমি অবশ্য বাংলায় ভয়ংকর রকম কাঁচা। ক্লাস টেনে টেস্টে বাংলা প্রথম পত্রে ৩৪ আর দ্বিতীয় পত্রে ৩২ পেয়ে কোনমতে দুই পেপার মিলে পাশ করেছিলাম। তারপর আর বাংলার ঘর মাড়াই নাই। থাক বাবা লেখার মত বিদ্যেটা তো হয়েছে! না হয় ভুল ব্যকরণে অথবা ভুল বানানে। 


ধ্যাত! যা ইচ্ছা তাই হোক, মুখের ভেতরটা ভয়ংকর চুলকাচ্ছে। আচ্ছা! ইচগার্ড দিয়ে মুখের ভেতর ডলা দিলে কি চুলকানি বন্ধ হবে? নাকি কচুর রস ডলব? ধ্যাত! কেউ তো এসে ঝগড়া করুক আমার সাথে! না হয় প্রেম! আকাশ লাল হতে হতে কালো হয়ে গেলো। কেউ এলো না। আচ্ছা! অন্ধকারের কি মন খারাপ হয়? 


#হিবিজিবি_হাবিজাবি 


ঝগড়াচ্ছা 

 - মোঃ আহসানুল হক 


০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪


#রম্য 


বন্ধুত্বের সম্পর্ক

 আমি প্রায়ঃশই নানা কারণে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই 

নানা রকম মানুষের সংস্পর্শে আসি, আর সম্পর্ক কুড়াই, 

প্রত্যেকটা মানুষ একজন আরেকজন থেকে অন্যরকম 

কিছু ভালো কিছু খারাপ কেউ বিরক্তিকর, যার যার স্বভাব মতন 

আমি প্রত্যেক ধরনের মানুষের সাথেই মিশে যাই খুব বেশ 

কারও কথা ভুলে যাই আর কারও কথা রয়ে যায় স্মৃতিতে রেশ 

তবে মনে দাগ না কাটলে খুব সময় লাগে না তাদের ভুলে যেতে 

এদের মাঝেই একজন দুজন খুব হঠাৎ করেই বসে যায় মনের রথে 

বন্ধুত্বের সূচনাগুলো এভাবেই হয়, দেশে কিংবা বিদেশে

তারপর মনে সম্পর্কগুলোর লালন পালন স্মৃতির পাশে; 

এদের কারো কারো সঙ্গে দেখা হয় না অনেকদিন হয়তো 

আজকাল যোগাযোগের কতই না মাধ্যম! তাই যোগাযোগ রয় তো 

তারপর পৃথিবীর গোলক ঘুরে দেখা হয়ে যায় কোথাও না কোথাও 

দেখা হতেই বিচ্ছেদের মধ্যেকার সময় গুলো হঠাৎ করেই উধাও 

গল্পে স্মৃতিচারণে দুজনার সময়গুলো কিছুদিন বেশ ভালই কাটে

তারপর আবার যে যার পথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা রয়ে যায় বটে। 


#হিবিজিবি_কথা 


বন্ধুত্বের সম্পর্ক 

 - মোঃ আহসানুল হক 


২২ শে নভেম্বর ২০২৪ 

কলকাতা,ইন্ডিয়া

কালের ভেতরের কাল

 অতীত থেকে চলতে চলতে

চলে এসেছি বর্তমানে 

হেঁটে চলেছি ভবিষ্যতের পানে 

চোখ বুজতেই চোখের পলকে 

সময় গাড়ি আলোর বেগে; 


এইতো কিছুক্ষণ আগে চোখ খুলতেই সকাল হয়েছিল 

সকালে সকালটা ছিল বর্তমান 

কিভাবে যেন চোখের নিমিষে দিনটা চলে গেল 

এখন রাতের প্রথম প্রহর, রাতটা এখন বর্তমান

আর সকাল হয়ে গেছে অতীত, 

রাতটা চোখে ঘুম নামিয়ে নিয়ে আসবে 

আর ঘুম ভাঙতেই সকাল 

এই সকালটা ভবিষ্যৎ 

এই সকাল আর ওই সকালের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু?  


পলক ফেলার আগেই সময়গুলো গড়িয়ে যাচ্ছে 

বর্তমান ঢুকে যাচ্ছে অতীতের গহ্বরে 

ভবিষ্যৎ টেনে নিচ্ছে বর্তমানকে,

কালের ভেতরেও কি কাল থাকে? 

সময়ের দৌড়ে কে কবে জয়ী হতে পেরেছে? 


জীবনের আয়নায় পেছনে তাকালেই 

একে একে চোখে ভেসে ওঠে বাল্যকাল, কৈশোর আর যৌবন 

আজ প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে এসে মনে হয় এই তো সেদিনের কথা 

সময়ের গহ্বরে ওগুলো যেন শুধুই স্মৃতি 

মাঝে মাঝে মনে হয় সময় যেন কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে!  

তবে কি জীবনের হাত ধরে মৃত্যুর দিকে?  


আচ্ছা! 

মৃত্যুটা কি?  

অতীত, বর্তমান না ভবিষ্যৎ? 


#হিবিজিবি_হাবিজাবি  



কালের ভেতরের কাল 

 - মোঃ আহসানুল হক 


২০ নভেম্বর ২০২৪ 

চুপি, পূর্বস্থলী 

ওয়েস্ট বেঙ্গল, ইন্ডিয়া

ভালোবাসার রং-তুলি

 আজকাল প্রেম ভালোবাসার কথা লিখতেই আমার বড্ড ভয় 

প্রেম লিখতে গিয়ে যদি আবার প্রেমে পড়ে যাই! 

ভালোবাসা আঁকতে গিয়ে আবার যদি ভালবেসে ফেলি! 

তবুও লেখার মধ্যে প্রায়শই প্রেম ভালোবাসা এসেই যায় 

আর প্রেমের কথা আসলেই 'তুই'

ভালোবাসার কথা ভাবলেই 'তুই'

কাগজে হিবিজিবি আঁচড় কাটি 

প্রেম আঁকি, ভালবাসা আঁকি তারপর কেউ দেখে ফেলার আগেই 

সব মুছে দেই চটজলদি 

মনের মাঝে তোলপাড় তোর মুখচ্ছবি

আর আমি হাতে নিয়ে বসে থাকি ভালোবাসার রং তুলি,

বড্ড ভয় হয় সাদা ক্যানভাসটায় দাগ দিতে; 


ওই দেখ আকাশে এত বড় চাঁদ 

আমি অন্ধকারে 

আর তুই নদী 

মনের মাঝে তোলপাড় হিবিজিবি 

চাঁদ হাসে আর তুই বয়ে যাস নিরবধি

আমি রং-তুলি হাতে আর সাদা ক্যানভাসটায় দেখি তোর ছবি; 


যেদিন চাঁদ ঢুকে পড়বে অমাবস্যার জরায়ুতে 

সেদিন চারিদিক ঘন অন্ধকার হবে 

তুই বয়ে চলবি অন্ধকারের নদী 

সেদিন আমি নৌকো হব 

কালো মিশমিশে তালের নৌকো, আলকাতরায় মোড়ানো 

তোর বুকে বাইবো ভালোবাসার বৈঠা

তারপর সাদা ক্যানভাসে ভালোবাসার ঝড় উঠবে 

সেদিন আর ভয় লাগবে না প্রেম লিখতে 

সেদিন আর ভয় পাবো না ভালোবাসা আঁকতে 

সাদা ক্যানভাসে, ভালোবাসার রং-তুলিতে। 


#হিবিজিবি_রাতের_হাবিজাবি


ভালোবাসার রং-তুলি

 - মোঃ আহসানুল হক 


১৮ নভেম্বর,  ২০২৪ 

সুন্দরবন,  ওয়েস্ট বেঙ্গল 

ইন্ডিয়া