এই যে সারাজীবন কামানো দুনিয়াবি অর্থ, সম্পর্ক আর স্বার্থ!
মালাকুল মউত যখন এসে ডাক দিয়ে বলবে, চল
তখন সবকিছু তুচ্ছ মনে হবে না?
পেছন ফিরে কি কিছু দেখতে পাব?
পুরোটা জীবন কি ভেসে উঠবে চোখের সামনে?
এই যে তিলেতিলে গড়া সহায় সম্পত্তি!
এই যে ব্যাংকে জমানো অর্থ!
এগুলোর কোনটা কি সাথে নিয়ে যেতে পারব?
কিংবা এই ধরো পরিবার পরিজন! আত্মীয়-স্বজন
বন্ধু-বান্ধব আর যতসব সম্পর্ক!
এদের কাউকে কি সাথে নিয়ে যেতে পারব?
ঐ যাত্রায় কেউ কি সঙ্গী হতে রাজি হবে?
কোন একদিন আয়নাকে প্রশ্নগুলো করেছিলাম,
আয়না কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলো
কি যেন ভাবছিলো.........
অনেকক্ষণ ভেবে আমাকেই ছোট্ট দুটি প্রশ্ন করলো -
তুমি যেতে? অন্য কারও সঙ্গী হয়ে?
তুমি নিয়ে যেতে পারবে কিছু, কাফনের কাপড়ের পকেটে ভরে?
আমি চুপ করে প্যাঁচার মত মুখ লুকোলাম ঘর অন্ধকার করে;
আমরা আসি একা কাঁদতে কাঁদতে
যাই একা কাঁদাতে কাঁদাতে
মধ্যের জীবনটা মৃত্যুর কাছ থেকে ধার করা।
ধার করা অল্প একটু জীবনে আমরা অর্থের জন্য লড়ি
লড়ি স্বার্থের জন্য, লড়ি সম্পর্কের জন্য
লড়ি সম্পর্ক বাঁচাতে কিংবা ভাঙতে
কিছু সম্পর্ক জন্মসূত্রে নিয়ে আসি, আর কিছু সম্পর্ক এখানে গড়ি
কিছু হাসি খেলায়, কিছু শোকে-দুঃখে জীবনটা পাড় করি
তারপর ধার করা জীবনের সমাপ্তিতে একদিন
টুপ করে ঘুমিয়ে যাই সাড়ে তিন-হাত ঘরে,
সম্পর্কগুলোকে কাঁদিয়ে।
#হিবিজিবি_হাবিজাবি
ধার করা জীবন
- মোঃ আহসানুল হক
২৮ মার্চ, ২০২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন