বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাবা-মায়ের খালি বুক

 দুহাজার চব্বিশ সালের জুলাই  

উঠলো এক স্বৈরাচারী হাত 

হাজার প্রাণ কেড়ে নিলো তারা 

আর জনগণের নির্ঘুম রাত; 


একটা চাকরির অভিপ্রায়ে কিছু 

ছাত্র-ছাত্রী একটা দাবি তুলেছিলো 

বিনিময়ে নেমে এসেছিলো তপ্ত বুলেট 

জীবনটা শীশার আগায় ঝুলেছিলো;  


এত বড় কথা! অধিকার বলিস  

তোরা সব এখনো রাজাকার 

বলেছিলো সেদিন গলা উঁচিয়ে 

জানো না কে? -ঐ স্বৈরাচার; 

  

গলা তুললি কেন? অধিকার চেয়ে 

পরাধীনতার এই দেশে 

মৃত্যুর মিছিল লম্বা হলো বড্ড   

সারি সারি শহীদের বেশে; 


পরাধীন দেশে দেখতে হয় না

চোখেতে কোন রঙিন স্বপন 

দেখতে গিয়ে দেখলি না কি হলো? 

মৃত্যুটা হলো বিনিময়ে আপন;  


গুলি চলে মাটিতে আর আকাশ পথে  

সরকারি সব বন্দুক থেকে 

মুছে দেবে তারা অধিকারে নাম

একেবারে ঝেঁটিয়ে এদেশ থেকে; 


লাখো মানুষের কান্না চোখ 

পানি ঝরে আজ অবিরত 

মৃত্যুর মিছিল বড় হতে থাকে

গুলি চালাতে ওরা থাকে যত;  


মরে পড়ে থাকে ঘরের শিশু

জানালায় দিয়ে একটু উঁকি 

জানবে না কখনো কেন মরেছে 

জীবন দিয়েছে কেন তাকে ফাঁকি;  


বাদ যায় না ছাদের শিশুটাও  

খেলছিলো ঝাঁকড়া চুল নেড়ে   

আকাশ পথে হেলিকপ্টার থেকে 

গুলি এসে জীবন নিলো কেড়ে;  


পথঘাটে থেকে হাজার হাজার

উঠিয়েছে তারা ছাত্রের দল 

বাদ যায় নি শিশুটা পর্যন্ত 

রিমান্ড হয় কি? শিশুর বল;  


আমার বাড়ির একটা শিশু

কাটাচ্ছে রাত অন্ধকার জেলে

তোমার বাড়ির কেউ কি আছে? 

স্বৈরাচারীর গরাদ সেলে;  


তবে জানবে না কি দুঃখে বলি 

বাবা-মায়ের আজ প্রাণ ফাটে 

আছাড়ে বিছাড়ে মা কাঁধে ঘরে

বাবা ফিরে আদালতে ঘাটে ঘাটে; 


মানুষ আমরা তখনই মানুষ 

মনুষ্যত্ব যখন থাকে বুকে 

বিবেক তাঁদের মরে গেছে কবে

কোন কি পাপে ধুঁকে ধুঁকে; 


ভুলে গেছে তারা মরতে হবে

তবুও কাঁপে না একটু বুক 

কি জবাব দেবে হাশরের মাঠে 

দেখাবে কিভাবে ঐ খুনি মুখ।


#হিবিজিবি_মনের_হাবিজাবি_কথা


বাবা-মায়ের খালি বুক 

 - মোঃ আহসানুল হক 


০১ অগাস্ট, ২০২৪ 



 


   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন