আজকাল কেমন যেন শরীর খারাপ করা প্যাঁচপ্যাঁচে গরম পড়ছে। প্যাচপ্যাচে গরম বলতে সারাদিনই শরীর বেয়ে লবণ বের হয়, পানির সাথে লবণের মিশ্রণকে বইয়ের ভাষায় ঘাম বলা হয়, আমি বলি চর্বি গলা পানি। ঘরে থাকলে সারাদিনই মাথার ওপর বনবন করে ক্লান্ত ফ্যানটা ঘুরে। ঘরের ভেতর আমার বেশিক্ষণ ভালো লাগে না আমি গরম খেতে চলে যাই কোন না কোন জঙ্গলে, কিংবা গ্রামের মেঠো-পথ ধরে কোন এক গাছের ছায়ার তলে শুয়ে থেকে নীলাকাশের দিকে তাকিয়ে গরম খাই। কখনো কখনো মৃদুমন্দ বাতাসে শরীর জুড়িয়ে আসে, কখনো একটি দুটি পাখির ডাকে চোখ মেলে তাকাই, দূর আকাশে পাখিদের ওড়া-উড়ি দেখি, আবার ক্লান্ত দুপুরে শরীর এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করি। মাঝে মধ্যে যখন বাতাস বন্ধ হয়ে যায়! প্যাঁচপ্যাঁচে গরমে চর্বি গলে গলে পড়তে থাকে তখন কোন এক শ্যাওলা পুকুরে ডুব দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। আমার জন্য কেইবা আর আর বাথটাবে বরফ ঢেলে সুগন্ধি ঢেলে রাখবে। তবে কখনো সখনো গভীর জঙ্গলে গাছতলায় শুয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে খারাপ লাগে না। স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি নেমে পড়ি কোন এক পুকুর কিংবা খালে, পদ্ম-পুকুর কিংবা শ্যাওলা পুকুর তাতে কি যায় আসে। গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে শুয়ে শুয়ে আমি পাখ-পাখালির কিচির-মিচির শুনি। কোথাও কি একটা চোখগেলো পাপিয়া ডেকে উঠলো? আমি চারিদিকে ভালো করে তাকাতেই দেখি পুকুর পাড়ের ধারে একটা গাছের ডালে চোখগেলো চোখগেলো পাপিয়া ক্রমাগত ডেকে যাচ্ছে। মন থেকে গরমটা মুহূর্তে হাওয়া হয়ে গেলো। আমি ক্রমাগত চোখগেলো চোখগেলো ডাকে চোখগেলো পাপিয়ার দিকে অপলক চেয়ে রইলাম। কি অদ্ভুত সুন্দর একটা পাখি!!! একটা পাখি আমার একটা দুপুর বদলে দিয়ে গেলো।
#হিবিজিবি_হিবিজিবি
চোখগেলো পাপিয়া
- মোঃ আহসানুল হক
১৬ এপ্রিল, ২০২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন